রেদোয়ানুল হক সবুজ :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে নিহত হয় সেকোম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সেকোম আলীর স্ত্রী। এ মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সিপিসি-১, কুষ্টিয়া গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় (বুধবার ৪সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল সদর উপজেলার দহকুল্লা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, গত ৬আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর থানাধীন নওয়াপাড়া এলাকায় শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শেষে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতকারীদের ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নওয়াপাড়া এলাকার মৃত খেজমত এর পুত্রে সেকোম (৪৫)মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯, তারিখ ১৪ আগষ্ট ২০২৪, ধারা ১৪৩/৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। তবে হত্যা মামলার উক্ত এলাকার প্রধান আসামী টাইগার মামুন গংয়ের ১২ জন এখনো পলাতক রয়েছে। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে উক্ত মামলার একজন আসামী দহকুল্লা বাগানপাড়ায় পালিয়ে আছে। এমন সংবাদে সেখানে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে দহকুলা বাগানপাড়ার সেকেন আলীর পুত্র রাসেল (৩২) কে গ্রেফতার করেন। তিনি উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ১২নং আসামী বলে জানা যায়। পরে আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।