ঘড়ির কাঁটা আবার এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিয়েছে ইউরোপের সব দেশ। শীতে দিনের আলো সংরক্ষণের জন্য সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে গ্রীষ্মে আবার এক ঘণ্টা এগিয়ে দেয়ার রীতি এ বছরই হয়তো শেষ হবে। খবর ডয়চে ভেলের
গত শনিবার ভোর তিনটায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়ায় এক ঘণ্টা বেশি ঘুমাতে পেরেছে ইউরোপের মানুষ। ১৯৮০ সালে বিশ্বব্যাপী তেলসংকট শুরু হলে দিনের আলো বেশি উপভোগ করে জ্বালানি খরচ কমানোর এই রীতি অনুসরণ শুরু হয়। শুরুটা জার্মানিতে হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশই এই রীতি মানতে শুরু করে।
তবে অক্টোবরে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে এবং মার্চে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আদৌ জ্বালানি বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে কিনা এই প্রশ্নও উঠেছিলো। সমালোচকরা বলছিলেন এর মাধ্যমে বরং মানুষের জীবনের ছন্দপতন হয় এবং এর বিরূপ প্রভাব পড়ে কারো কারো শরীরে।
এই রীতির ভবিষ্যৎ স্থির করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভোটাভুটি হয় ২০১৮ সালে। ইইউ সদস্যরা বিপুল ভোটে রীতি বন্ধের পক্ষে রায় দেন। তারপর ২০১৯ সালে ২০২১ থেকে এই রীতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
ফলে কোন দেশ এই রীতি মানবে, কোন দেশ বাদ দেবে এই সিদ্ধান্ত এখন সংশ্লিষ্ট দেশের হাতে। তাই সময়ই বলবে কোন দেশে ঘড়ির কাঁটা পিছানো-এগোনোর এ রীতি থাকবে আর কোন দেশে থাকবে না।