পুুলিশ সুপারের সুপারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন
অভিযোগের কপি গায়েব ১০ দিন ধরে বাদীকে ঘুরাচ্ছেন শৈলকুপা থানার ওসি
কুষ্টিয়া অফিস ॥
শৈলকুপায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই জনকে পিটিয়ে রক্তাত্ব জখম ও নগদ অর্থ ছিনতাই এর ঘটানার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে থানার ইনচার্জ এখনো মামলা গ্রহন করেন নাই বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সূত্র ও জখমকৃত বাদী ও কাজী শিমুলের বক্তব্য মতে জানা জায়, শৈলকুপা পিটিশন নং-৪২/২০২৪, ধারা : ফৌ: কা: বি: ১৪৪ এবং আদালতের স্মারক নং-১২০, ২১/০১/২০০৪ তারিখে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ১৬ নং পদমদি মৌজার ২৫৩ শতকের ১৭৪ শতক নালিশী জমির উপর উভয় পক্ষকে ১৪৪ ধারা জারি করেন মহামান্য আদালত। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হামলাকারীরা উক্ত জমিতে আবাদ করার খবর পেয়ে আহত শিমুল বিবাদী পক্ষকে মৌখিকভাবে সতর্ক করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়।
এরই সূত্র ধরে গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে কুষ্টিয়া এলাকার হাউজিং এ ব্লকের মৃত কাজী রুহুল আমিনের ছেলে কাজী রাজীব হোসেন (৩৯) ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার পদমদী এলাকার মৃত কাজী আহম্মদের ছেলে কাজী শিমুল (৫৯) মধুপর বাজারে কলা বিক্রয়ের ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। মদনডাজ্ঞা বাজারের পথিমধ্যে পৌছালে ওত পেতে থাকা ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার পদমদী গ্রামের রাজন মোল্লার ছেলে লিখন মোল্লা (৩২), মৃত শমসের মোল্লার ছেলে রাজন মোল্লা (৬০) ও আশা মোল্লা (৩৫), মৃত মনজু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩৮), সামছুল আরেফির ছেলে শিপন মিয়া (৫০), মৃত চুক্ত খন্দকারের ছেলে ইলিয়াস খন্দকার (৬০), সিরাজ বিশ্বাসের ছেলে রিপু বিশ্বাস (৩৯), মৃত মানিক বিশ্বাসের ছেলে ঠাকুর (৩০), উমিন বিশ্বাসের ছেলে জমির (৪২), ও জাহিদুল (৩২) পিতা- অজ্ঞাত ব্যাক্তিগন হত্যার উদ্দেশ্যে কাজী শিমুলের উপর প্রকাশ্যে শাবল, হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পেটাতে শুরু করে। সাথে থাকা কাজী রাজীব হোসেন ঠেকাতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি ভাবে পেটায়, মার খেয়ে ২জন মাটিতে লুটিয়ে পরলে কাজী শিমুলের পকেটে থাকা ১,৯৫,০০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে অবস্থা খারাপ বেগতিক দেখে আহতদেরকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এই ব্যাপারে কাজী রাজিব হোসেন বাদী হয়ে ঐ দিনই শৈলকুপা অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ঐ সময় স্থানীয়রা ১ নং আসামীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তিনি কিভাবে ছাড়া পেয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এ বিষয়ে বাদীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, থানা থেকে অভিযোগের কপি গায়েব, ১০ দিন ধরে আমাকে ঘুরাচ্ছেন শৈলকুপা থানার ওসি। তিনি আরো বলেন, গত ৮ তারিখে সকালে বাদী থানায় যেয়ে এস আই মনিরের কাছে ৩০ তারিখে জমা দেওয়া অভিযোগের কপির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেন নাই এমনকি থানার বকশির কাছেও সেই অভিযোগ এর কপি পাওয়া যায় নাই। পরবর্তীতে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন থানার সেকেন্ড অফিসার। তার কথামত নতুন করে অভিযোগ জমা দিয়েছি তারা তদন্তও করেছে, সত্যতাও পেয়েছে। তার পরও এখন পর্যন্ত মামলায় অর্ন্তভুক্ত না করে নানান ধরনের তার বাহানা করছেন শৈলকুপা থানা।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, বাদীকে পাঠিয়ে দেন আমি মামলা নিব। গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত মামলা টি এখনো অন্তর্ভুক্ত হয় নাই বলে জানায় বাদী পক্ষ। এ বিষয়ে আহত শিমুল ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, মামলা না নিলে আমি আত্ম বলিদান দিব। তার বক্তব্যের ভিডিওটি ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।