সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় ভন্ড কবিরাজ জাহিদের ঝাড়-ফুঁকের অন্তরালে অনৈতিক কাজের অভিযোগ : লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত নেতাদের পিটিয়ে হত্যা: ১৮ বছর পর হাসিনার নামে মামলা চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় সেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়া জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ৫ আগষ্টের পর ১৪ জন খুন : প্রতিবাদী কন্ঠ ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ছিনতাইকারী রাখি র‌্যাবের হাতে আটক : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় আবারো অশান্ত : আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়া পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিখোঁজ : প্রতিবাদী কন্ঠ

রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে পাঞ্জের ও সবুজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি দুলাল: প্রতিবাদী কন্ঠ-১ম পর্ব

প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক:
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২২ মে, ২০২২
  • ১০৯৮ পাঠক পড়েছে

রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে পাঞ্জের ও সবুজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি দুলাল -১ম পর্ব

প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক :“আমি পাঞ্জেরকে গুলি করে মেরেছি। মহিবুল থাকলে আমি পাঞ্জেরকে মারতে পারতাম না। মহিবুল আমার নামে চলে। মহিবুলকে আমি তৈরি করেছি। আমি আরো দশটা মহিবুল তৈরি করব। চুয়াডাঙ্গার বাড়ি বিক্রয় করে ২০ লক্ষ টাকা প্রশাসনকে দিয়ে কলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মহিবুলকে নির্মূল করে দিব। আমার হাত অনেক লম্বা, সেটা হলো আমার বাবার বন্ধু। তিনি অনেক বড় মাপের লোক, তার একটা ফোনে পুরা বাংলাদেশ কাপে। তার কথায় কুষ্টিয়া প্রশাসন উঠে আর বসে। আমার বাবার বন্ধুকে দিয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে আজ ফোন করে মহিবুলের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দুইটা মামলা করেছি। মিরপুর থানাতেও যাচ্ছি তার নামে মামলা করতে সেই সাথে তার বিরুদ্ধে পাঁচটা জিডিও করা হবে”। উপরের এই কথাগুলো রবিবার বিকেলে প্রতিবেদককের মুঠোফোনে জানান, জাসদ নেতা পাঞ্জের হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও ১৫ই আগস্ট কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে সবুজ হত্যা মামলার আসামি মিরপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে দুলাল হোসেন। বর্তমানে এই অস্ত্রধারী ক্যাডার তার বাহিনী নিয়ে রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মহিবুল ও আলমের সাথে কথা হলে তারা বলেন, কুষ্টিয়ার অনন্যা নামের একটি মেয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় বেদখল হয়েছিল। আমরা উক্ত বাড়িটি প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে তা উদ্ধার করেছি। উক্ত বাড়িটি সম্প্রতি কুষ্টিয়ার লিটন নামের এক ব্যক্তির কাছে ৮৬ লক্ষ টাকায় বিক্রয় চুক্তির স্থলে ২৫ লক্ষ টাকায় বায়না রেজিস্ট্রি করে দেন অনন্যা। অনন্যার সাথে তাদের যুক্তি ছিল যা বিক্রি হবে তার অর্ধেক টাকা দুলাল, মহিবুল, আলম সহ অন্যান্যরা পাবে।

উক্ত ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে মাত্র ৯ লক্ষ টাকা হাতে পেয়ে দুলাল তার সহযোগীদের ভাগ না দিয়ে একাই নিয়ে নেয়। যার ফলে মহিবুল ও আলমের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে তার সঙ্গে গত ১৭ এপ্রিল চৌড়হাস এলাকায় দুলালের সাথে হাতাহাতিও হয়েছে। উক্ত ভাগের টাকা তার সহযোগীদের না দেওয়ার জন্য তিনি অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে গত রবিবার রাতে আহমদপুর ও কলাবাড়ি এলাকায় মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তার বিষয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তার বিষয়ে বলেন, দুলাল একজন অস্ত্রধারী ক্যাডার তার সঙ্গে সব সময় একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। সে জাল দলিল করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কাটাখালি, কালিতলা, কানাপুকুর ও মুচিদেয়া জলাশয় গুলো একাই ভোগ করে যাচ্ছেন। সেই সাথে জাল দলিল দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করে রেখেছেন।

কুষ্টিয়া গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে জানা যায়, দুলাল এর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে সে একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক জিডি ও অভিযোগ। কবুরহাট এলাকায় গাছ কেটে চুরি করে বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। কুষ্টিয়া কাটাইখানা মোড়ের এক কসাই গরুর মাংস বাবদ পাবে ২৫ হাজার টাকা। জনি নামের এক মাছ বিক্রেতা পাবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য চেক জালিয়াতির মামলা। মিরপুর মশান এলাকার গরীবুল্লাহ তামাক বিক্রি বাবদ তার কাছে পাবে ৪,৮০,০০০ টাকা এ বিষয়ে মিরপুর থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা আছে। এছাড়াও গত উপজেলা নির্বাচনের দিন কলাবাড়ি এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের সম্মুখে উক্ত এলাকার বাসিন্দা জয়নালকে প্রকাশ্যে গুলি করে, এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে।

তবে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন আগে এই বাড়ি বিক্রির অর্থের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বৈঠকও হয়েছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে তার বিষয়ে অবগত আছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী দুলাল দাবি করেন তার বাবার বন্ধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন বড় কর্মকর্তা। তার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন তাকে দমন করার জন্য। -প্রথম পর্ব

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2021-2022 । প্রতিবাদী কন্ঠ
Design and Developed by DONET IT
SheraWeb.Com_2580