প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক : বেড়ায় ক্ষেত খেলে তা রক্ষা করবে কে অথবা কুইনাইন খেলে জ্বর সারে কিন্তু কুইনাইনের জ্বর হলে তা সারাবে কে? এমন ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসে। নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম নিজেই নিয়ন্ত্রন করছেন টেন্ডার। তার পছন্দের ব্যক্তিকে কাজ পাইয়ে দিতে তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেন। গত এক বছর ধরে তিনি নিজেই টেন্ডার বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। ইজিবি’র ওটিএম টেন্ডারে পছন্দের ব্যক্তিকে গোপন রেট দিয়ে কাজ পেতে সহযোগিতা করে থাকেন। এ বিষয়ে ঠিকাদাররা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
এবার ঈদের ছুটিতে টেন্ডার আহবান করে নির্বাহী প্রকৌশলী আবারও আলোচনার শীর্ষে। ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকায় কিনতে পারছে না সিডিউল। একইভাবে অফিস বন্ধ থাকায় ওটিম টেন্ডারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারছে না ঠিকাদারগণ। নিজের পছন্দের ব্যক্তির বাইরে যাতে কেউ টেন্ডারে অংশগ্রহন করতে না পারে সেই কারনে তিনি নিজেই বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডারে অংশগ্রহন থেকে বিরত রাখতে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন।
অন্যদিকে তার নিষেধাজ্ঞার বাইরে কেউ সিডিউল কিনলে সেই ঠিকাদারের বিল আটকানো, কাজের সাইটে অফিসিয়াল তাফালিং বেড়ে যায়। ঈদের ছুটিতে টেন্ডার আহবানসহ একই দিনে সিডিউলের লাস্ট সেলিং, একই দিনে জমা এবং একইদিনে ওপেনিং। এ যেন এক তুঘলকি কারবার। দেখার কেউ নেই।
জনমনে প্রশ্ন সরকার যখন চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের দমন করে টেন্ডারের মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে ঠিক তখনই নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেই টেন্ডারবাজি করছেন। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চেয়ে মোবাইলে ফোন করলে তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং নানা অজুহাত দেখান। বিষয়টি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগীরা।