মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ট্রিপল মার্ডার মামলায় কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটন গ্রেফতার: এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী লিপ্টন ও রাজু শৈলকুপার ট্রিপল মার্ডারে শোন অ্যারেস্ট : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী নেতা কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড রাজু আটক : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপ্টনকে বাঁচাতে তৎপর উপসচিব ভাই আলমগীর কবির : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের করোনা পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি : প্রতিবাদী কন্ঠ উপ সচিবের ভাই কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী নেতা লিপ্টনসহ তিন সহযোগী গ্রেফতার : প্রতিবাদী কন্ঠ কষ্টিয়ায় হেলালের শেল্টারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজন গ্রেফতার : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় দুদকের গণশুনানিতে সরকারি কর্মকর্তাদের তুলোধোনা করলেন : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় ‘হাজার দুয়ারী’ শপিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ : প্রতিবাদী কন্ঠ

কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্রী ফাতেমা হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক:
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১
  • ৬৯৬ পাঠক পড়েছে

কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্রী ফাতেমা হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক : কুষ্টিয়ার মিরপুর বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে ফাতেমার (১৪) গণধর্ষণ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার। সংবাদ সম্মেলন থেকে চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় একজন আসামির পক্ষে কোনভাবেই গণধর্ষণ শেষে এমন নির্মম ও নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটানো সম্ভব নয়। পরিবারের অভিযোগ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে গণধর্ষণের আলামত মিললেও পুলিশ কিছুতেই তাদের কথা আমলে নিচ্ছে না। রোববার বেলা সাড়ে ১০ টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের এম এ রাজ্জাক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্কুল ছাত্রী নিহত উম্মে ফাতেমার পিতা খন্দকার সাইফুল ইসলাম। এ সময় স্কুল ছাত্রী নিহত ফাতেমার মা হালিমা খাতুন, দুই চাচা খন্দকার সোহল রানা ও খন্দকার মাহাফুজুর রহমান ও চাচী মোমেনা আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয় গত ১৫ জুলাই সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ভাঙা বটতলা এলাকায় একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উম্মে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই পুলিশ মিরপুর পৌরসভার কুরিপোল মধ্যপাড়া এলাকার রংমিস্ত্রি মিলনের ছেলে ও আমলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আপনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন গ্রেফতারকৃত আসামি আপন একাই ধর্ষণ শেষে স্কুল ছাত্রী ফাতেমাকে হত্যা করেছে। পরে আদালতে আসামি আপন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন হত্যাকান্ডের পর পরিবারের পক্ষ থেকে ৪-৫ জনকে আসামি করার কথা বলা হলেও পুলিশ তা না করেই মাত্র একজনকে আসামি রেখে তাদের কাছ থেকে এজাহারে স্বাক্ষর করে নেয়। পরবর্তীতে তাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার চাঞ্চল্যকর এই গণধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা আসামি আপনের একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলে পুলিশের কাছে দাবি জানানা হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে লিখিত আবেদন জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ কিছুতেই তাদের কথা আমলে নিচ্ছে না। এদিকে গত ৯ নভেম্বর আদালতে দাখিলকৃত ফাতেমার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ফাতেমাকে হত্যা করার আগে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। দলবদ্ধ ধর্ষণের কারণেই তার যৌনাঙ্গের ভিতরে এবং বাইরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের পরই তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমার গলায় রশি দিয়ে পেঁচানোর কারণে গলার মধ্য বরাবর গোলাকার দাগ রয়েছে। বাম চোখের নিচেও আঘাতের কারণে রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। পেটে ২টি,গলায় ৫টি ও পিছন দিকে মাজার উপর মেরুদ- বরাবর ৩টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছুরিকাঘাতের কারণে তার শ্বাসনালী এবং রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অপরদিকে ফাতেমার ঘাড়ের পিছন দিকে ৬টি ও ডান পায়ের পাতার উপর ৬টি মোট ১২টি স্থানে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ক্ষতও রয়েছে। যা দেখে বোঝা যায় জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে পোড়ানো।
এছাড়াও শরীরের পিছন দিকে ঘাড়ের নিচ থেকে দুইপা পর্যন্ত ফুটন্ত তরল পদার্থ ঢেলে পোড়ানো হয়েছে। এতে তার শরীরের ৩৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্কুলছাত্রী ফাতেমার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার ডা, সুতপা রায়, মেডিকেল অফিসার ডা, রুমন রহমান ও কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মামলাটি সিআইডি অথবা পিবিআই’র হাতে ন্যাস্ত করার দাবি জানানো হয়।
উাতেমা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম জানান, এটি মেডিকেল রিপোর্ট। ডিএনএ রিপোর্ট আসার পরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2021-2022 । প্রতিবাদী কন্ঠ
Design and Developed by DONET IT
SheraWeb.Com_2580