পৌরসভা ও সওজের মধ্যে চলছে ঠেলাঠেলি
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১২ কোটি ২৯ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার ড্রেন এর কাজ তিনটি বাড়ির জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজটি শেষ হয়নি। জানা যায় এই কাজের মূল বাঁধা তিনটি বাড়ি। এই তিনটি বাড়ি রোডস এন্ড হাইওয়ে জায়গায়। গায়ের জোরে তাঁরা এই ড্রেন নির্মাণ করতে দিচ্ছে না। কাজটি করছেন ইউডিসি কনস্ট্রাকশন এলটিডি।
উডিসি কনস্ট্রাকশন এলটিডি এই কাজের প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, বারখাদা ত্রিমোহনী এলাকার গৌতমের দোতলা বাড়ি, জুগিয়া এলাকার জীবনের তিন তলা বাড়ি ও মঙ্গবাড়িয়া এলাকার মিনু বিশ্বাস মার্কেট আমাদের কাজের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভবন ভাঙা না হলে আমরা ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারছিনা। এই সপ্তাহের মধ্যে এই তিনটি ভবন ভেঙে জায়গা করে দিলে আশাকরি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
এদিকে ভবন মালিক গৌতম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ড্রেন একটু বাঁকা করে করানোর জন্য। তবে এই জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের বলেও জানান তিনি। বিষ বছর আগে এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়।
কুষ্টিয়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) জাহাঙ্গীর আলম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী বারবার সেখানে গিয়ে ভবন ভেঙে নিতে বলেছি। তারা বারবার সময় নিচ্ছে। এই জায়গার মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই কাজ নভেম্বর ২০২১ সালে শেষ হবে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পৌরসভার আমাদেরকে মৌখিক ভাবে ড্রেন নির্মাণের জায়গা দেখিয়ে দিতে বলেছিল। আমরা জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি। এখন পৌরসভার যদি লিখিত ভাবে ওই জায়গার ভবন উচ্ছেদের জন্য বলেন, তবে আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট একজন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন করবো। পরে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ওই ভবন উচ্ছেদ করতে পারবো।
প্রকল্পের পাশে লাগানো সাইনবোর্ড থেকে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার আওতাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ওপেন ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এর সহায়তায় তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের উপ প্রকল্প ইউজিআইআইপি-III-২/এফ/কেইউএসএইচ/ডিআর-০২/২০১৭ এর কনস্ট্রাকশন অফ ৩৬০০এম আরসিসি ড্রেনেজ সিস্টেম ফ্রম মরা গড়াই কাজে ১২,২৯,৫১,১৫৯.৯২ টাকা চুক্তিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউডিসি কনস্ট্রাকশন এলটিডি. মনিপুরিপাড়া, তেজগাও, ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে চলেছে।