মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ট্রিপল মার্ডার মামলায় কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটন গ্রেফতার: এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী লিপ্টন ও রাজু শৈলকুপার ট্রিপল মার্ডারে শোন অ্যারেস্ট : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী নেতা কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড রাজু আটক : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপ্টনকে বাঁচাতে তৎপর উপসচিব ভাই আলমগীর কবির : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের করোনা পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি : প্রতিবাদী কন্ঠ উপ সচিবের ভাই কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী নেতা লিপ্টনসহ তিন সহযোগী গ্রেফতার : প্রতিবাদী কন্ঠ কষ্টিয়ায় হেলালের শেল্টারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজন গ্রেফতার : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় দুদকের গণশুনানিতে সরকারি কর্মকর্তাদের তুলোধোনা করলেন : প্রতিবাদী কন্ঠ কুষ্টিয়ায় ‘হাজার দুয়ারী’ শপিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ : প্রতিবাদী কন্ঠ

চাচা হত্যায় দুই ভাতিজার আমৃত্যু কারাদণ্ড

কামরুজ্জামান রিপন:
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১
  • ৯৬৫ পাঠক পড়েছে

কুষ্টিয়ায় জমি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে দুই ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার নৃসিংহপুর (রসুনপুর) গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ইটাল (৩৬) ও আজম (৩৩)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদেরকে জেলা কারাগারে নিয়ে যওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জমি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১০ সালের ৩ জুন সকালে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আপন চাচা তহির উদ্দিনকে (৫৫) রক্তাক্ত জখম করে ইটাল ও আজম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। রাজপাড়া থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরদিন নিহত তহির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ইবি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর ইবি থানা পুলিশের এসআই সৈয়দ আশিকুর রহমান দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নিহত তহির উদ্দিনের স্বজনরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তহির উদ্দিনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। ১১ বছর পর আসামি আজম ও ইটালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে আমরা খুশি। তবে তার ফাঁসি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আজম ও ইটালকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2021-2022 । প্রতিবাদী কন্ঠ
Design and Developed by DONET IT
SheraWeb.Com_2580