নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া সদর উপজেলা হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পুরাতন কুষ্টিয়া ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মুকুলের নেতৃত্বে মুসলিমা খাতুনের বারির সামনে অবৈধভাবে টিনের বেড়া নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তার পরিবারের লোকজন দিয়ে এবং মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মূলক আচরণে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মুসলিমা খাতুন ৭ জনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ১, মুসলিম বিশ্বাসের ছেলে মুকুল মেম্বার,২ মেম্বার মুকুল হোসেনের স্ত্রী রুপালি, ৩ মুকুল মেম্বারের ছেলে জিম, ৪, ঝন্টু ইসলামের ছেলে আপন,৫ খদে খাতুন, ৬ ঝন্টু ইসলামের স্ত্রী বিউটি খাতুন, ৭ মন্টুর স্ত্রী রিংকি সহ আরো ৪-৫ জন ভুক্তভোগীদের উপরে হামলা চালিয়ে গত ২১ আগস্ট ভুক্তভোগীদের বাড়ির সামনে টিনের বেড়া দিয়ে আবদ্ধ করে দেয় । এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী দের সাথে কথা হলে তারা বলেন তারা বিভিন্ন সময় আমাদের উপরে মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তমূলক তথ্য ছড়িয়ে আমাদের উপরে হামলা চালায় আমাদেরকে একঘরেও করে রাখতে চাই। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আমাদের উপরে এমন হামলা চালাচ্ছে আমরা নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের কাছে গিয়েছি । আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই । দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি এই বিষয়টি অবগত আছি আমি মেম্বারকে বলে দিয়েছিলাম যে তোমরা টিনের বেড়া সরিয়ে নাও বিশৃঙ্খলা করো না । তারা আমার কোন কথা শোনে নাই । পরে আমি ভুক্তভোগীদের বলেছি তোমরা আইনের সহায়তা নেউ । এ বিষয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার মুকুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার জায়গার উপরে আমরা ঘিরে দিয়েছি তাছাড়া ওই মহিলার নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে । এলাকার লোকজন ওই মহিলার নামে গণপিটিশন জমা দিচ্ছে। বিভিন্ন সময় বারান্দায় বসে গালাগালি করে যার কারণে মূলত ওই টিনের বেড়াটি স্থাপনা করা হয়েছে। যাতে কেউ কারো মুখ দেখবে না ঝগড়া ঝাটিও হবে না। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি অবগত আছি তদন্ত চলছে তদন্তে সাপেক্ষে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।