প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক: কুষ্টিয়া মিরপুরে এক কিশোরীকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে প্রাণ গেল মিরপুর বর্ডারগার্ড স্কুলের ১০ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর। প্রাণে বাঁচেনি ওই কিশোরীও। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর রেল ব্রীজের উপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম নাঈম আলী ও ঋতু খাতুন বলে জানা গেছে। ঋতু নামের ওই কিশোরী ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিহত নাঈম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের ছেলে এবং ঋতু খাতুন চিথলিয়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের রবিউল শাহ’র মেয়ে। ঋতু মিরপুর কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকা ছায়া নেমে এসেছে। ওই শিক্ষার্থীর সাথে ছিলেন সিয়াম নামের তাদের আরেক বন্ধু। সিয়াম জানান, তারা তিনজনই মিরপুর বাজারের পাশের স্থানীয় এক কোচিং সেন্টারে পড়তে এসেছিলেন। কোচিং শুরু হতে একটু দেরি হওয়ায় তারা তিনজন রেল লাইনের উপর হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে মিরপুর রেলব্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় চলে আসলে তারা ট্রেন আসতে দেখে। এসময় সিয়াম ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়লেও ঋতু ব্রিজের উপর ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। ঋতুর কান্না দেখে নাঈম তাকে কোলে তুলে দৌড়ে রেলব্রিজ থেকে নামার চেষ্টা করে । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রেনের নিচে পড়ে দুজনই ছিন্নবিছিন্ন হয়ে যায়। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। পরে পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, জিআরপি) মনজের আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। দুটি মৃতদেহের ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।