গত বছরের নভেম্বরে শেষবার মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। সময়ের হিসাবে প্রায় ১১ মাস আগে। করোনাভাইরাসের থাবায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ হয়নি লিওনেল মেসিদের। ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে ভেঙেছে বিরতি। যদিও ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স খুব একটা মনে ধরার মতো নয়, জিতেছে ১-০ গোলে। জয়ের নায়ক মেসি অবশ্য পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট নন, লম্বা সময় পর মাঠে নামায় খেলোয়াড়রা স্নায়ুচাপে ভুগেছে বলে মনে করছেন তিনি।
বুয়েনস এইরিসের ম্যাচের ১৩তম মিনিটে মেসির পেনাল্টি গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। গত বছরের নভেম্বরে উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-২ গোল ড্র হওয়া ম্যাচের পর প্রথমবার মাঠে নেমেছিল তারা। তাও আবার ছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। গত মার্চ থেকে কাতার বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসে সেটি সম্ভব হয়নি।অতঃপর লম্বা সময় পর দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মাঠে ফিরলেও খেলায় ছিল না ধার। অবশ্য মেসির গোলে অজেয় থাকার পথটা সচল রেখেছে তারা। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালের পর টানা ৮ ম্যাচ হারেনি আলবিসেলেস্তেরা।
পুরো ৩ পয়েন্ট পেলেও আর্জেন্টিনার খেলা ছিল অগোছালো। আক্রমণে ছিল না গতি। মেসি অবশ্য বলছেন, ম্যাচটি যে কঠিন হবে, জানা ছিল তাদের। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা জানতাম কঠিন একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জয় এবং আমরা এখন উন্নতির ধারা ধরে রাখতে কাজ করবো।’
এলোমেলো ও গতিহীন ফুটবলে ঢাল হিসেবে মেসি সামনে আনলেন লম্বা বিরতিকে, ‘আমরা সবাই জানি বিশ্বকাপ বাছাই কতটা কঠিন। আশা করছি, সামনের ম্যাচগুলোতে খেলার লেভেলের উন্নতি হবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে আমরা প্রায় একবছর পর একসঙ্গে খেলতে নামলাম। (লম্বা বিরতির পর) এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ। স্নায়ুচাপে ভোগায় আরও কঠিন হয়ে উঠেছিল।’