তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আরো দেড় হাজার রোহিঙ্গা।
১ হাজার ৪৬৭ জনের এই দলটি শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে চারটি জাহাজে করে যাত্রা শুরু করে।
গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।
নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য শুক্রবার দুপুরে তাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়।
রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক বলেন, আজ (শনিবার) সকাল ৯টায় তারা রওনা হয়েছেন। অন্য একটি জাহাজে করে তাদের মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব জাহাজের সঙ্গে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ও চারটি স্পিডবোট সঙ্গে আছে।
টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে প্রথম দফায় ভাসানচরে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তারা সবাই স্বেচ্ছায় ভাষানচরে যান। এবার তৃতীয় দফায় তিন হাজার রোহিঙ্গা ভাষানচরে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে গতকাল এক হাজার ১৭৭৮ জনকে গতকাল ভাসানচরে নেয়া হয়। এই দফায় আরও ১৪৬৭ জনকে আজ ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।