নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নিজ ঘরে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সোমবার রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’দফা অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে রহিমকে রবিবার বিকেল ৪টায় এবং অপর আসামি রহমতুল্লাহকে রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. রহীম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহীমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ (৪১)।বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশের ৫টি ইউনিট ৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুই আসামি আটক করে। অন্য আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। অপরদিকে, ভয়ে বাড়ি ছাড়া নির্যাতিতা গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টার পাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে রাতে বেগমগঞ্জ থানায় আনা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর (৩৫) বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রেখে তাকে শ্লীলতাহানি করে স্থানীয় বাদলের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ বখাটে যুবক দল। ওই সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করে। পরে তিনি সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। রবিবার দুপুরে ঘটনার ৩২ দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয় এবং টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। ঘটনার পর থেকে গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবারকে কিছুদিন অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে তার পুরো পরিবারকে বসতবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলে পুরো ঘটনা দীর্ঘদিন স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থাকে। পরে রবিবার ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে ২ আসামিকে আটক করা হয়।