প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসী হামলায় জাসদ যুবজোট নেতা মাহাবুব খান সালাম নিহত হওয়ার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মীর নাম উলেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮-৯ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নামে মামলা হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার আল্লারদর্গা হাইস্কুল মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান লস্করের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র শামিমুল ইসলাম ছানা ও জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, প্রাগপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হালসানা, আদাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাকী, সাবেক চেয়াম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু, ড. মোফাজ্জেল হক, দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শুরুর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল আল্লারদর্গা বাজার প্রদক্ষিণ করে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাদের নামে দায়ের করা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উলেখ্য বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা মাষ্টারপাড়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় জাসদ যুবজোট দৌলতপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব খান সালাম (৩৮) নিহত হোন। নিহত মাহাবুব খান সালামের পিতা আলাউদ্দিন খান ওরফে এনামুল হক বাদী হয়ে শুক্রবার (১৩ মে) সকালে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩১।
মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছোটভাই দৌলতপুর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ও হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, দৌলতপুর যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরীসহ একই পরিবারের ৬ জন।
এর মধ্যে দৌলতপুর যুবলীগের সভাপতি টোকেন চৌধুরীকে এই হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। যদিও তিনি গত ৮মে থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে এ মামলা যে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে ধবংস করার ষড়যন্ত তা এখন প্রকাশ্য। তাই প্রসশানের কাছে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সাধারণ মানুষের একটাই দাবী, তদন্তের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র মূলক মামলার মূল রহস্য উন্মোচন করার মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে ধবংস করার ষড়যন্ত্র কারীদের মুখোশ খুলে দেওয়া হউক।