মসজিদুল হারাম ও পবিত্র কাবা
ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হজ্ব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। খবর খালিজ টাইমসের।
রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হজ্ব আয়োজন বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে বলা হয়েছে, ‘এ বছর কী পদ্ধতিতে এবং কোন কোন শর্ত মেনে হজ্ব পালন করা যাবে সে বিষয়ে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছর সীমিত পরিসরে হজ্ব পালন হয়। সেবার শুধু সৌদি আরবে বসবাস করা লোকজন হজ্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন। সৌদি আরবের বাইরের কোনো দেশ থেকে কাউকে হজ্বে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় ও ভাইরাসের অধিক সংক্রামক নতুন নতুন ধরন শনাক্তের কারণে দেশে এ মহামারির বিস্তার রোধে এ বছরও বিদেশ থেকে কাউকে হজ্বে আসার অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি সৌদি সরকার বিবেচনা করছে বলে এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই সৌদি কর্মকর্তা।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজনের অন্যতম হজ্ব । করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে ২৫ লাখের বেশি মানুষ সপ্তাহব্যাপী হজ্ব পালন করতে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় যেতেন।
এ ছাড়া সারা বছরই ওমরাহ পালন করতে নানা দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান সৌদি আরবে যান। হজ্ব থেকে সৌদি আরব প্রতি বছর প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে।
প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের অক্টোবরে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম খুলে দেওয়া হয়েছিল। কোভিড-১৯ এর টিকা বাজারে আসার পর গত মার্চে সৌদি আরব সরকার বলেছিল, যারা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন কেবল তাদের হজ্ব করার অনুমতি দেওয়া হবে।
কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ধরন শনাক্ত হওয়া এবং সেগুলো মোকাবিলায় বর্তমানে বাজারে থাকা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টিকা গ্রহণের পরও অনেকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন।