এজাজ উচ্ছ্বাস : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কুষ্টিয়ার খাজানগরের কবুরহাট এলাকায় অবস্থিত দেশ ও ইফাদ এগ্রোর চালকলের বর্জ্যের দূষিত পানির কারণে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি গত সাত মাস বন্দ থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তাছাড়াও কৃষকরাও পড়েছেন হুমকির মুখে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুরো এলাকা বিষাক্ত বর্জ্য ও কচুরিপানায় ময়লার স্তূপে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ওই পানি গায়ে লেগে চর্মরোগসহ নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিয়েছে এলাকাতে।
সরেজমিনে উক্ত স্থানে গেলে, স্থানীয় সাধারণ বাসিন্দারা বলেন, কবুরহাট এলাকায় দেশ এগ্রো ও ইফাদ এগ্রোর চালকল মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় সবাইকে ম্যানেজ করে চলেন। তবে উক্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটু বৃষ্টি হলেই ওই পানি উঠে যাচ্ছে সড়কে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা এখানে চাকরি করি। চালকলমালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা হুমকি-ধমকি দেন। তাই এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে পারি না। আমরা বিষয়টি উপজেলা পযার্য়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে বটতৈল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির বলেন, বুধবার সকালে বিষয়টি আমি দেখে এসেছি। চালকলমালিক পক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি তেমনটি অবগত নই তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়ার পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিজানুল হক বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা পযার্য়ের কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছি। তবে তারা কেউই ব্যবস্থা নেননি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামকে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।