গড়াই নদীর উপর নির্মিত শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু রক্ষা বাঁধের ৫০ মিটারের বেশি গড়াই নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। রোববার ভোরে হঠাৎ করে সেতু রক্ষা বাঁধ ধ্বসে পড়েছে নদীতে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে। পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে হাটশহরিপুর বাসীর স্বপ্নের এই সেতু। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন সংশিষ্টরা।
প্রায়শত কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে উদ্বোধন করা হয় কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন হরিপুরবাসীর স্বপ্নের শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে নির্মিত এ সেতুর দুই প্রান্তে নদী শাসনে ব্যয় হয় বিপুল অর্থ। সংযোগ সেতু রক্ষার জন্য সেতুর উভয় পাড়ে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। গতবছর বর্ষার সময় সেতুর হরিপুর অংশের পুর্ব পাশের বাঁধটির বেশ কিছূ অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। সে সময় তড়িঘড়ি করে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানো হয়। এরপর এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্থায়ীব্যবস্থা না নেওয়ায় রোববার ভোরে পানির তোড়ে পুনরায় বাঁধের ৫০মিটার নদীতে চলে যায়। সাথে একটি বসত বাড়ির অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মাঝে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,দ্রুত বাঁধটি সংস্কার করতে হবে। তা না হলে এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিলে সেতুসহ বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তাদের। কোন আশ্বাস নয়, দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডির কর্মকর্তারা। তারা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন তারা।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল হক বলেন, এ সংক্রান্ত কোন ফান্ড নেই। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন,দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন,স্থানীয় সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির সঙ্গে কথা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে ভাঙনের স্থান গুলোতে বালুবোঝাই জিও বস্তা আজই ফেলা হবে।