কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া দরবেশপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আলমপুর ইউনিয়নের জামায়াতের সেক্রেটারি মোস্তফার দলীয় ব্যক্তি রাজু আহম্মেদ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গভীর রাতে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন অকস্মাৎ রাজুর বাড়ি ঘেরাও করে এবং বাড়িতে প্রবেশের পর ঘুমন্ত রাজুকে ডেকে নিয়ে দুর্বত্তরা তার উপর গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ রাজু মাটিতে লুকিয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ রাজুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাজু দরবেশপুর গ্রামের মুন্তা মন্ডলের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
দরবেশপুর এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বক্কর গ্রুপ ও জামাত নেতা গোলাম মোস্তফা গ্রুপের কোন লোকজন বাড়িতে নেই সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। তারা এটাও বলেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতেও পারে গোলাম মোস্তফা। এই গোলাম মোস্তফা ইতিপূর্বে জামাত ইসলামের পক্ষ থেকে আলামপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। হত্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জামাত নেতা গোলাম মোস্তফার পারিবারিক তদন্ত অতি জরুরী।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ভীতি দেখা দিয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে থানার ওসি সাব্বিরুল আলম জানান।