রেদোয়ানুল হক সবুজ :
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া পৌর ১৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা একাধিক মামলার আসামি ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসয়ী রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর রমরমা মাদক ব্যবসার ফলে ধ্বংসের পথে যুব সমাজ। একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তারের পরও বিন্দুমাসীর মাদক বিক্রির দৌরাত্ম কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পশ্চিম মজমপুর মুনসুরশাহ্ মাজার এলাকার গোলাম মোস্তফা ড্রাইভার ওরফে মরার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী দিনে দুপুরে অবাধে অবৈধ মাদক বিক্রি করছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৫টির অধিক মাদক মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে যা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে মাদকের ডিলার বিন্দুমাসি একাধিকবার পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে ফের আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে। বর্তমানে তিনি এলাকার বড় গাঁজা ও ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জানান, মাদক এই রাষ্ট্র ও সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি। রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী আসলেই একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। মূলত মুদি দোকানে আড়ালে এই মাদক ব্যবসা করছেন তিনি। বর্তমান পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয়রা বলেন, ২০০৯/২০১০ সাল থেকে মাদক ব্যবসা করেই রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছেন। পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে আবার সেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে।
এ বিষয়ে রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার নামে মামলা আছে, আমি মাদক ব্যবসা করি মামলা চলাতে খরচ হয় এই কারণে আমি মাদক ব্যবসা করি, আমার নামে লেখালেখি করে কিছুই করতে পারবেন না, আমি মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা করি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালিই হোক না কেনো তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।