সম্পাদকীয় : কে এম শাহীন রেজা ॥
সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে খ্যাত কুষ্টিয়ার বুকে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন শিল্প, ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া কুমারখালী আলাউদ্দিন নগরের রূপকার ও শিক্ষাপল্লীর জনক আলাউদ্দিন আহমেদ নিজ উদ্যোগে আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লীর অঁজপাড়া গাঁয়ে পর্যটন নগরীতে রূপান্তরিত করার লক্ষে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম আলাউদ্দিন নগর (পূর্বে চকরঘুয়া)। গ্রামটির দূরত্ব কুষ্টিয়া শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে গড়াই নদীর পূবের্র একটি সমতল জনপদ। এই জনপদে আকাশের মত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী প্রতিথযশা সমাজসেবক আলাউদ্দিন আহমেদ সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও বংশীয় পরিবারে ১৯৪৪ সালের ৩১শে জুলাই তারিখে জন্মগ্রহন করেন।
কুষ্টিয়া কুমারখালী আলাউদ্দিন নগরের রূপকার ও শিক্ষাপল্লীর জনক দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ নিজ উদ্যোগে আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লীকে পর্যটন নগরীতে রূপান্তরিত করার লক্ষে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম আলাউদ্দিন নগর। গ্রামটির দূরত্ব কুষ্টিয়া শহর থেকে ১০ কিঃমিঃ উত্তর পূর্বে, কুষ্টিয়া কুমারখালীর মাঝখানে। এই জনপদে আকাশের মত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী প্রতিথযশা সমাজসেবক, হিতৈষী, নির্ভীক, স্বাধীনচেতা, সদা হাস্যময়ী, ধর্মভীরু মানুষের কল্যাণে সদা চিন্তাশীল, সম-সাময়িক কালজয়ী, আলাউদ্দিন নগরের রূপকার ও শিক্ষাপল্লীর জনক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিত্ত্ব আলহাজ্ব ড. আলাউদ্দিন আহমেদ তিনি স্রষ্টার প্রিয় মানুষ হয়ে পূর্বসূরীদের কর্মকান্ডের অসম্পূর্ন কাজ সম্পন্ন করতে মানব সেবায় তাঁর জীবন উৎস্বর্গ করেছেন।
কুষ্টিয়ার এই মহামানব সন্তান আজকের কর্মবীর তাঁর মুঠো-মুঠো অসীমদানে স্যাঁত স্যাঁতে পল্লী গাঁ এখন সোনালী রৌদ্রে আলোকিত করে তৈরী করে যাচ্ছেন একটি পর্যটন নগরী। সরেজমিনে আলাউদ্দিন নগরে না গেলে বোঝার উপায় নেই যে, এই ব্যক্তি তার নিজ জন্মভূমির মাটিতে কি কি তৈরী করেছেন। নিজ মাতৃলয়ে ১৯৭২ সাল থেকে মানব সেবায় ঝাপিয়ে পড়ে পূর্বের চকরঘুয়া গ্রামটি এখন আলাউদ্দিন নগরে রূপান্তরিত করে তৈরী করেছেন আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লী। একই কম্পাউন্ডের মধ্যে প্রায় ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আলাউদ্দিন নগরে প্রায় ৫০টিরও বেশী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিষ্ঠানে কখনো ভবন নির্মান, কখনো বৃহৎ দান বা বড় কোন উন্নয়নমূলক কাজে নিঃস্বার্থ দান যাচ্ছেন। এ পর্যন্তÍ প্রায় ২০০ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে বৃহত অনুদান প্রদান করে তিনি ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে আঁজীবন দাতা সদস্য হিসাবে আছেন।
তারই আলোকে তিনি আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লীতে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের জন্য তৈরী করেছেন দৃষ্টিনন্দন পার্কটি। কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর থেকে শিলাইদাহ কুঠিবাড়ি যেতেই চোখে পড়বে আলাউদ্দিন আহমেদের বাড়ির উত্তর পাশেই অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি। ২০১৫ সালে তিনি পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এখনও পার্কটির নির্মাণ কাজ চলছে প্রায় ৯০% কাজ সমাপ্তির পথে। পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য বেশ কয়েক বছর আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে। পার্কটি খুলে দেওয়ার সাথে সাথেই প্রতিদিনই পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ ঘুরতে আসছে শত শত দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে পার্কের ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় প্রায় শতাধিক বেকারদের কর্মের ঠিকানা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়ার বাইরে থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি, ফকির লালন শাহের মাজারে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা এখানেও ভিড় জমাচ্ছে। গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা থাকায় দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের বাড়তি বেগ পেতে হচ্ছে না। পার্কটির মধ্যে ঢুকতেই চোখে পড়বে জাতীয় মানের একটি সৌন্দর্যপূর্ণ গেট। তার আগে চোখে পড়বে গেটের বাইরে বাউন্ডারি প্রাচীরের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতি। ভেতরে ঢুকে আরো চোখে পড়বে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মনীষীদের বাণী। বাউন্ডারি ঘেরা বিশাল বড় এরিয়া জুড়ে চোখে পড়বে, বাম্পার কার, টুইস্ট রাইটার, ফেয়ারি হুইল রাইড, সুইম চেয়ার রাইটার, পাইরেট শিপ, বুলেট ট্রেন, প্যরাট্রুপার রাইডার, টুইষ্ট রাইডার, হ্যানি সুইম চেয়ার রাইডার, দৃষ্টিনন্দন পুকুরের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির হরেক রঙের মাছ, নৌকা, স্প্রীট বোর্ড, সাবলীল পরিবেশে পিকনিক স্পট সহ বিভিন্ন রকমের ড্রাইভ। টুরিস্টদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে একাধিক কটেজ।
অন্যদিকে পার্কটির দক্ষিণ সংলগ্ন মনোমুগ্ধকর চতুর্থ তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ভবনটি পরিপূর্ণতা লাভ করলে পার্কর্টি আরো দর্শনীয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা করছে পর্যটকরা। আগামী ডিসেম্বরে আরো একটি ব্যয়বহুল চমকপ্রদ রাইডার সংযোজন হতে যাচ্ছে সেটি হল নাইন ডি ভিডিও। সেটির সংযোজনের কাজ চলছে। এছাড়াও পার্কের ভিতরে তৈরি করা হয়েছে বিয়ে, সুন্নতে খাতনা, জন্মদিন সহ নানা অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার। অফিস সেমিনারের জন্য উন্নত মানের রুম তৈরি করা হয়েছে। গত জুন মাসে পার্কটির মধ্যে রাউডিস চাইনিছ রেস্টুরেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করেছেন সেই সাথে সংযোজন করেছেন সুইমিংপুল।
একটু পেছনের দিকে তাকালে বোঝা যাবে আলাউদ্দিন আহমেদ কেমন মানুষ ছিলেন। ১৯৬৭ সালে ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড একাউনন্টেন্সী ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস, লন্ডনে চাটার্ড একাউনন্টেন্সী কোর্সে ভর্তির অনুমতি পেয়েও তা পড়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে দেশেই সাহা মজুমদার এন্ড কোম্পানীর অধীনে চাটার্ড একাউনটেন্সী শেষ করেন। পরবর্তীতে দেশেই আইন ব্যবসা করবার জন্য ১৯৭০ সালে তিনি নিজেকে আইন ব্যবসায় সাথে নিয়োজিত করেন। আইন ব্যবসায়ের অবসরে বর্তমানে ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন, বিখ্যাত ঔষধ আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান আলো মাল্টিপারপাস কোম্পানী লিঃ, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ সহ একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা ছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়, তাই নিজ জন্মভুমির মাটিতে বসবাসকৃত নিরক্ষর গ্রামকে শিক্ষার আলো জ্বালাতে যৌবনে পদার্পনের সময় থেকেই স্বপ্ন দেখেছিল আজকের দেবতুল্য আলাউদ্দিন আহমেদ। এলাকার সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করনের লক্ষে নিজ অর্থায়নে ১৯৭২ সাল থেকে অদ্যবধি তাঁর নিজ জন্মমাটির বিভিন্ন প্রান্তে নিজ জমি দান ও নিজ অর্থায়নে প্রায় ৯০টির অধিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আলাউদ্দিন আহমেদ এখন একটি নাম নয়, তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। আলাউদ্দিন আহমেদ এখন আলাউদ্দিন নগরের সন্তান নয়, তিনি সমগ্র বাংলাদেশের এক গৌরবান্বিত সন্তান। এক সময়ের অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামটিতে সাধারন মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছেন তা তারই নিঃস্বার্থ অবদান। তাঁর এ যুগান্তকারী সংস্কারমুলক কর্মকান্ডেই আজ তিনি এই গ্রামের রূপকার।
১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারী, চকরঘুয়া গ্রামের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার এক কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও প্রকৌশলী মরহুম কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীকে গন সম্মর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিন আহমেদের নামানুসারে “আলাউদ্দিন নগর” নামকরনের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী। সেই থেকে তিনি আলাউদ্দিন নগরের রূপকার হয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লী। তাঁর নিজ জন্মস্থান আলাউদ্দিন নগরের হতদরিদ্র পল্লীবাসীর দুঃখ, দুর্দশা লাঘব ও মানব মুক্তির জন্য নানান কর্মক্ষেত্র স্থাপনের উদ্দ্যেগ নেন। তিনি কিশোরবেলা থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, দেখতে পেয়েছিলেন এখানকার মানুষ অবলা অসহায় ও অশিক্ষিত। তাইতো তিনি অন্ধকারাছন্ন নিজ গ্রামে জ্ঞানের আলো জ্বালাতে ও কৃষকের মুখে হাসি ফোঁটাতে প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী ও কৃষি উন্নয়নের বিল্পব ঘটাতে হবে।
পৃথিবীতে কিছু মানুষ জন্মান বিপ্লবের মহান ব্রত নিয়ে। মানুষের জন্য, দেশ ও সমাজের জন্য তাঁরা ফেরি করেন স্বপ্নের পসরা। তারা জাতিকে রক্ষা করেন, এগিয়ে নেন, জাতিকে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখান। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ শুধু স্বপ্ন দেখান না, স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নও করেন। আলাউদ্দিন আহমেদ স্বপ্নের দেশ গড়ার কর্মবীর একজন অসাধারন মানুষ। আলোকবর্তিকা হাতে দেশ মাতৃকার জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। যেখানেই স্পর্শ করেছেন সেখানেই পেয়েছেন অসামান্য সাফল্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করাই তাঁর এক মহতকর্ম। তাঁর অঁজ পাড়া গাঁয়ের প্রতিষ্ঠানের আলো ছড়িয়ে পড়েছে এখন দেশের সবখানে, ধীরে ধীরে সেই আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ। আলাউদ্দিন আহমেদ এমন এক মানুষ, যাঁর মধ্যে জ্ঞানের ব্যাপ্তী, মূল্যেবোধের বিকাশ, জীবনের উৎকর্ষ, আত্মমর্যাদার মহিমা, সাংগঠনিক দক্ষতা- মহৎ সব গুণ ছড়িয়ে তাঁর পায়ের নখ থেকে মাথার চুলে। অন্তরের আলোয় তিনি যেমন আলোকিত, তেমনই আলোকিত করেছেন দেশের মানুষকে।
তিনি শুধু আমার নয়, তিনি হাজারো জনের মনের মানুষ, প্রাণের মানুষ “একজন প্রান খোলা সাদা মনের মানুষ”। তাঁর ছোট্ট সুন্দর দেহটির ভিতরে লুকান আছে একটা বিশাল হৃদয়, আর স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন মন। এই মনটিকে সারাটি জীবন ব্যবহার করে যাচ্ছেন মানুষের কল্যানে, দেশের কল্যানে। তাঁর চিন্তা-চেতনায় আছে কিভাবে মানুষকে শিক্ষা-দিক্ষায় এগিয়ে নেয়া যায়। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি গড়তে চায় স্বপ্নের বাংলাদেশ।
আলাউদ্দিন নগরের আলাউদ্দিন আহমেদ একটি আলোর প্রদীপ, আজ সেখানে বিকিরন করছে অজস্র্র আলোর প্রদীপ। বাল্যকালের আলো নামটির যতার্থই মুল্যায়িত হয়েছে। ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বালাতে গড়ে তুলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে সাহার্য্যরে হাত বাড়িয়ে দেওয়া, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করা, কৃষকদের মাঝে সেচ প্রকল্প চালু করা, বেকারদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়া সকল প্রকার ব্যবসায়িক মার্কেট, অসুস্থ ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত করা মাতৃসদন কেন্দ্র ও তহিরন নেছা হাসপাতাল, খেলার মাঠসহ একাধিক জনকল্যাণমুলক প্রতিষ্ঠান তৈরী করা যাঁর একটিও অনুপযোগী নয়।
আলাউদ্দিন আহমেদের জীবনদর্শনই হচ্ছে মানবপ্রীতি, তিনি মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়ে হয়ে উঠেছে স্বপ্নের চেয়েও অনেক বড় একজন সমাজসেবক। তাঁর কর্মের পরিধি ব্যাপক, জ্ঞান ভান্ডার অফুরন্ত, এক কথায় সর্বক্ষেত্রে তিনি সফল ও সার্থক একজন কর্মবীর মানুষ। সত্য, ভালো ও সুন্দর এই তিনটির উপর নৈতিকতা দাঁড়িয়ে থাকে। সদা সত্য বলা, ভালো কাজের সাথে থাকা এবং সুন্দরের প্রতি আগ্রহ বা সমর্থন থাকা এই সবগুলো গুণই তাঁর মধ্যে বিরাজ করছে। তিনি একজন আপাদ মস্তক ইসলামী ভাবধারার ধর্মভীরু মানুষ। আলাউদ্দিন আহমেদ স্বচ্ছ চিন্তা-চেতনার মানুষ, পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় তিনি মানবীয় গুণ সম্পন্ন একটি উজ্জ্বল আদর্শের প্রতীক। বলতে গেলে তিনি আমাদের দূষিত সমাজে একজন পরিশুদ্ধতায় খাঁটি অন্ত:প্রাণ সৎ নির্লোভ ব্যক্তিত্ব। ইসলামের দিক নির্দেশনাকে আদর্শ জেনে সমাজনীতি ও অর্থনীতির মাধ্যমে দেশ-জাতি-মাটি-মানুষের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমি হাজী মুহম্মদ মহসীনকে দেখি নাই, দেখেছি বর্তমান সময়ের হাজী মুহম্মদ মহসিনকে, তিনি হল আজকের বর্তমান সময়ের সমাজসেবক দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ। সমাজকর্মের সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সমাজকল্যান সেক্টরে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। আমি আগেই বলেছি আলাউদ্দিন আহমেদের জীবনদর্শনই হচ্ছে মানবপ্রীতি, মানুষের কল্যানে নিবেদিত এক প্রাণ। এক কথায় বলা যায়, তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক দার্শনীক সমাজসেবক ও আলোকিত মানুষ। সূদীর্ঘ সময়কাল ধরে তিনি দেশের উন্নয়ন ও সাধারন মানুষের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে রেখেছেন।
সমাজককর্ম ও শিক্ষাপল্লী সম্পর্কে আলাউদ্দিন আহমেদ’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি যৌবনে পর্দাপনের পর-পরই সমাজ সেবা করে যাচ্ছি। কর্মময় জীবনে পদার্পনের পর থেকেই সমাজের উন্নয়ন ও এলাকার সন্তানদের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করে আমারই বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিয়েছি। অন্যদিকে মসজিদ মাদ্রাস নির্মান করেছি, কৃষি উন্নয়নের বিল্পব ঘটিয়েছি। সর্বশেষ যে কাজটি এখন চলছে সেটি হল শিক্ষাপল্লী পার্ক। শিক্ষাপল্লী নামকরন করন বিষয়ে বলেন, আমার পার্কটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী যা অন্যান্য পার্কের মত নয়। কারন এই পার্কের মধ্যে রয়েছে অনেক শিক্ষনীয় বিষয়, যা দেখলে ও পড়লে একজন বকে যাওয়া শিক্ষার্র্থীর মধ্যে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে এবং সঠিক পথে ফিরে আসতে বাধ্য হবে। তবে করোনা কালীন সময়ে কাজের অগ্রগতি কিছুটা থমকে গিয়েছিল, যে কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজটির সমাপ্ত করতে পারি নাই। তবে ইতিমধ্যে একাধিক রাইডার স্থাপন করেছি আগামী ডিসেম্বরে ব্যয়বহুল চমকপ্রদ রাইডার সংযোজন হতে যাচ্ছে, সেটি হল “নাইন ডি ভিডিও”। শিক্ষণীয় পার্কটির পরিপূর্ণতা ফিরে আসলে কুষ্টিয়া জেলা নয় বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আমি আশা করছি।