কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের বিদায়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শোবিজ অঙ্গনে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সূত্রাপুর জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ইতোমধ্যে কিংবদন্তী অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আনোয়ারা, বৃন্দাবন দাশ, শাহানাজ খুশি, দীপু হাজরা, ইলিয়াস কাঞ্চন, এস এ অলিকসহ আরও অনেকে। এদিকে বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি লেখেন, বাংলা চলচ্চিত্রের যারা পথপ্রদর্শক, একে একে তারা চলে যাচ্ছেন। সেই কাতারে এবার কিংবদন্তী এটিএম শামসুজ্জামান আঙ্কেল। তিনিও বিদায় নিলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন।
তিনি আরও লেখেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন তিনি। তবে এতো সহজ মানুষ ছিলেন, যার সাথে সবকিছু অকপটে বলা যেত। সর্বদা সুপরামর্শ পেয়েছি এই গুণী মানুষটির কাছ থেকে। সবকিছু ছাপিয়ে এটিএম আঙ্কেল ছিলেন অত্যন্ত রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ। শুধু সিনেমায় নয়, ব্যক্তিজীবনে দারুণ হিউমার সম্পন্ন মানুষ ছিলেন তিনি। রঙের মানুষ। মুহূর্তেই আসর জমিয়ে দিতে পারতেন, কিন্তু একই সঙ্গে আবার অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান!
নাটক, সিনেমা, লেখালিখি, পড়াশোনা সব মাধ্যমে এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন সমুজ্জ্বল। অভিনেতা ছাড়াও ছিলেন একজন চমৎকার লেখক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং কাহিনীকার। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া এই সময়ে দুস্কর। কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই সহজ মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন এটিএম শামসুজ্জামান আঙ্কেল..
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। রক্তে অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় গত বুধবার সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু হাসপাতালে থাকতে না চাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর সেই বাসাতেই শনিবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।