রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা, জ্বলন্ত সিগারেট ঠোঁটে ধরা, লাল শার্ট গায়ে তার বুক খোলা, সানগ্লাস কপালে আছে তোলা, রাখনা কেন ঢেকে ঐ দুটি চোখ, হেই যুবক অথবা আমার মাটির গাছে লাউ ধরেছে, লাউ যে বড় সোহাগী সোহাগী, আমার, লাউয়ের পিছে লাগছে বৈরাগী কিংবা কালিয়া রে কালিয়া, কোথায় গেলি চলিয়া- গানগুলো আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।
নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই গানগুলো যার কণ্ঠে মাতিয়েছিল সংগীতাঙ্গন তিনি ডলি সায়ন্তনী। আধুনিক গানের পাশাপাশি, লোকগান কণ্ঠে তুলেও যিনি মন জয় করেছেন অসংখ্য শ্রোতার। মাঝে কয়েক বছরের সাময়িক বিরতি নিলেও বর্তমানে বেশ নিয়মিত। আজ এই কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন।
১৯৯০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরে সেলেক্স-এর ব্যানারে প্রথম ডলির একক অ্যালবাম ‘হে যুবক’ বাজারে আসে। মাসুদ পারভেজ প্রযোজিত ‘ঘেরাও’ সিনেমাতে তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। ডলি সায়ন্তনী এ পর্যন্ত ১৫টি একক এবং শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে সাতশ’র বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ডলি সায়ন্তনী।
বর্তমানে এই সময়ের শ্রোতাদের কথা ভেবে নিয়মিত গান করছেন ডলি সায়ন্তনী। করোনার মাঝে গত এপ্রিলের শেষের দিকে ‘আল্লাহ তুমি পথ দেখাও’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দেন ডলি সায়ন্তনী। এরপর ‘লুকাইয়া রাখি’ শিরোনামে চলচ্চিত্রের একটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। জুনের ২৮ তারিখ তার গাওয়া ‘ও সাঝবেলা’ শিরোনামের গান প্রকাশ পায়।
এদিকে ডলি সায়ন্তনী সবশেষ কাজ করেছেন ‘পারিনি ভুলতে’ শিরোনামে গানের। এই গানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নিজের তিন মেয়ে কথা, রিমঝিম ও ফাইজার সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দেন ডলি সায়ন্তনী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ।