রেদোয়ানুল হক সবুজ :
কুষ্টিয়ার খোকসায় জোড়া খুন ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে রাজবাড়ীর পাংশা এবং কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজবাড়ীর পাংশা থানার বসা গ্রামের মনছের মণ্ডলের ছেলে মতিয়ার মণ্ডল (৪৭) ও তাঁর ভাই শান্ত মণ্ডল (২০)। কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ওসমানপুর কলপাড়া এলাকার মজিদ শেখের ছেলে সাহস শেখ (২১), একই উপজেলার খানপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে রয়েল হোসেন (২১) এবং বসোয়া গ্রামের দুলাল প্রামাণিকের ছেলে শুকাই আলী প্রামাণিক (২৫)। গ্রেপ্তারের পর তাদের হেফাজত থেকে লুটের স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৭ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংএ বলা হয়, গত ১৭ জুন দিবাগত রাতে ১৭-১৮ জনের একটি ডাকাত দল গড়াই নদের আইয়ুবের ঘাট চরে একত্রিত হয়। কুষ্টিয়ার খোকসা বাজারের ব্যবসায়ী অশোক এবং তাঁর ভাই অসিম পালের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশে তারা সেখানে একত্রিত হয়। ডাকাতির পরিকল্পনার একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্য সামাদ এবং ফারুকের সঙ্গে দলের অন্য সদস্যদের কথা-কাটাকাটি হয়। মত বিরোধের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সময় সামাদ এবং ফারুককে জবাই করে হত্যা করে বালুচাপা দেয় অন্যান্য ডাকাত সদস্যরা। পরে পরিকল্পলা অনুযায়ী ওই দিন রাতে অশোক এবং অসিমের বাড়িতে ডাকাতি করে তাঁরা।
পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির ঘটনার পর স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ এবং ২১ জুন খোকসার ওসমানপুর ইউনিয়নের গড়াই নদের চর এলাকা থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর ডাকাতির ঘটনার পরের দিন অসিম পাল বাদী হয়ে খোকসা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। তিনি আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। এ সময় তারা দুই ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার পর বালু চাপা দিয়ে রাখার কথাও স্বীকার করেছেন। মূলত মতবিরোধের কারণে ডাকাত দলের সদস্য সামাদ (৩৩) এবং ফারুককে (২৮) তারা গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গুমের জন্য চরের মধ্যে বালুচাপা দেয়। গ্রেপ্তারকৃত ৫ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।