প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক :গত ১৫ মে বিকেলে নান্দনিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ার হাউজিং কদমতলা মোড়ে আনন্দ পাঠশালা নামে প্রি-স্কুল এর যাত্রা শুরু হয়। এক টুকরো সবুজের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নাম-না-জানা নানা ফুলের গাছ, ঝাঁকে ঝাঁকে উঠছে কবুতর আর শেষ বিকেলের ঝিরিঝিরি হাওয়া এমনই চমৎকার পরিবেশে উদ্বোধনী আয়োজন সম্পন্ন হয়।
পরিবেশবান্ধব এই আয়োজনে মাটির থালা, কলা পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রথমেই কলাপাতায় রসের পিঠা দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয় এবং দেয়া হয় পরিবেশবান্ধব গাছ ও ঘুড়ি। বিখ্যাত মন্টেসরি মেথড অনুসরন করেই এই স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে হবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
উল্লেখ্য প্রায় ১০০ বছর আগে মারিয়া মন্টেসরি নামের ইতালির একজন শিক্ষাবিদ এই ধারার শিখার প্রচলন করেন। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় বিশ হাজার মন্টেসরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতাসহ পৃথিবীর অসংখ্য বিখ্যাত ব্যক্তি এই মেথডের ফসল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আলী আদনান তার বক্তব্যে এই মেথড ব্যাখ্যা করেন এবং আড়াই থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদেরকে নিয়ে কিভাবে কাজ করবেন সে বিষয়টিও তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত কুষ্টিয়ার বিশিষ্টজনেরা তারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিজন আলম আরা জুঁই, কুষ্টিয়ার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের চেয়ারম্যান ড. আমানুর আমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার নওয়াব আলী, ইবির সহযোগী অধ্যাপক শাম্মী আক্তার, স্কুল অব লরিয়েটস এর অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান খান, ইসলামী কলেজের অধ্যাপক এনায়েত করীম প্রমুখ। বক্তারা এই সৃষ্টিশীল প্রতিষ্ঠানের সফলতা কামনা করেন এবং কুষ্টিয়াতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ায় এ প্রতিষ্ঠান কাজ করবে বলেও সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য আলী আদনান পূর্বে সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর ভাইস প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞানসম্মত উপায় কিভাবে সন্তানকে বড় করা যায় সে বিষয়ে আর্ট অব প্যারেন্টিং নামে তাঁর একটি বই সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।