কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া পাড়ার সাবেক মেম্বার সাইফুলের ইন্ধনে উক্ত পাড়াটি মাদকের হটস্পট নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। ইতিপূর্বে সানোয়ার হোসেন ছানো ও তার স্ত্রী নার্গিসের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সাংবাদিকের মোবাইলে একের পর এক হুমকি অব্যাহত রেখেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
উক্ত সাবেক মেম্বার ওখানে সিন্ডিকেট তৈরি করে ঐ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের কে ব্যবহার করে যাচ্ছে। তাদের সহযোগিতায় সাংবাদিকদেরকে হেনস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে তারা অবলীলায় স্বীকার করছে আমরা মাদক বিক্রি করি অথচ তারাই আবার হুমকি দিচ্ছে কেন সংবাদ প্রকাশ করা হলো, এটা যেন চোরের মায়ের বড় গলা।
দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাদালিয়া পাড়াটি এখন মাদক পল্লীতে রূপান্তরিত হয়েছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানিয়েছে। এ বিষয়ে গত বুধবার ভাদালিয়া পাড়াতে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গেলে মাদক ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন ওরফে ছানোর স্ত্রী নার্গিস সরাসরি প্রতিবেদকদের কাছে স্বীকার করেন যে, আমাদের এখানে প্রতিটা পরিবারই গাঁজা বিক্রী করে, আমরাও করি। তারা এটাও বলেন, গত মঙ্গলবার গাজা বিক্রয়কে কেন্দ্র করে আমার বাড়ির উত্তর পাশে দোকানের উপর এক মাদকসেবীকে গাজা না দেওয়ায় উক্ত ব্যক্তি আমাদের উপর চড়াও হলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে আমার স্বামী সানো সহ আরো অনেকে।
ছানোর স্ত্রী নার্গিস প্রতিবেদককে বলেন, আমার শ্বশুর রহমান সাধু ও আমার শাশুড়ি প্রায় বিশ বছর ধরে গাঁজা বিক্রি করে আসছেন তারই সুবাদে আমার স্বামী ছানো ও আমি গাঁজা বিক্রি করে আসছি। উল্লেখ্য যে, ছানো গাঁজা বিক্রি করে আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন ভাদালিয়া পাড়াতে। গত ৫ বছর আগেও তার এমন বাড়ি ছিল না। ছিল মাঠের মধ্যে একটি কুঁড়ে ঘরে পিতা-মাতার কাছে থাকতো। ছানো শুধু আলিশান বাড়িই করেননি তার ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখা গেছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র তৈরি করেছে।
তারা এটাও বলেন, আমাদের কাছে সকলেই আসে, আমরা মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা করি। তাদের সঙ্গে কথা বলার এক ফাঁকে ছানোর স্ত্রী নার্গিস এলাকার এক সাবেক মেম্বার সাইফুলের মোবাইলে কল দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দেন, তিনি বলেন, নিউজ না করার জন্য। তিনি এটাও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি না করাটাই ভালো তারা ব্যবসা করছে করতে দেন নিউজ করার দরকার নাই।
এ বিষয়ে ছানোর স্ত্রী আরো বলেন, আমাদের পাড়াতে সকলেই ব্যবসা করে। এই পাড়াতে মোট ৭ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী আছে তারা বড় বড় চালান এনে ব্যবসা করছে। সে সময় উক্ত স্থানে একাধিক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন হাসানের স্ত্রী। এছাড়াও তারা র্যাব প্রশাসনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং গাঁজা বিক্রি কথা স্বীকার করেন যা ভিডিও ফুটেছে ধারণ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় ভাদালিয়া পাড়া সহ আশপাশের গ্রামবাসীরা বলেন, অতি দ্রুত ভাদালিয়া পাড়া থেকে সকল মাদক ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, মাদকের ভয়াল থাবায় আশপাশের যুবসমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। এই দিকটা বিবেচনা করে উক্ত মাদক পল্লী উচ্ছেদ জরুরি হয়ে পড়েছে।