চট্টগ্রাম দুদকের তদন্ত চলছে
ডাক বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন কিভাবে? বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের অফিস পাড়া থেকে শুরু করে সর্বমহলে একটি নাম শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন, বহুল আলোচিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি চট্টগ্রাম জিপিও’র কর্মচারী ও ‘বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একটি জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশিত হলেও টনক নড়েনি ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের। তিনি এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’ এ পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম এলাকায়। ইতিমধ্যে তিনি ডাক বিভাগের ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডাক বিভাগের চাকরিটা তার নামমাত্র। চট্টগ্রামের ভিআইপি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সখ্যতা তৈরি করে ডাক বিভাগের সাথেই অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছেন তিনি। নিয়োগ-বাণিজ্য, ভবন নির্মাণ, সংস্কার, সরবরাহ, পরিবহন সহ সর্বক্ষেত্রে তার থাবা। হালে মিলছে তার সংশ্লিষ্টতায় ভুয়া সঞ্চয় অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ডাক বিভাগের কোটি কোটি টাকা সরানোর মতো চাঞ্চল্যকর তথ্যও। মর্যাদায় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও গড়ে তুলেছেন নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড়।
তৎকালিন সিনিয়র পোস্ট মাস্টার আব্দুল মোমেন চৌধুরীর মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে সাইফুল পোস্টাল অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন এডহক ভিত্তিতে। বর্তমানে তিনি এখন চট্টগ্রাম জিপিও তে সহকারী পোস্ট মাস্টার হিসাবে কর্মরত আছেন। এরই মধ্যে তিনি নিজেই সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করে ‘বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন’র সভাপতি বনে যান। পদ পদবি ব্যবহার করে তিনি ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকেন ২০১০ সাল থেকে। এখন তিনি অন্তত: দেড়শ’ কোটি টাকার মালিক বলে জানা যায়। তার সর্বগ্রাসী তৎপরতার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ডাক বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মচারী হিসেবে। তিনি সহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি তদন্ত চলছে।
ডাক বিভাগের পূর্বাঞ্চলে এখন সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর একচ্ছত্র আধিপত্য। তার স্ত্রী সৈয়দা আয়েশা ইয়াসমিনের নামে ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আছে যার লাইসেন্স (নং-১৬০৩১৪)। এছাড়া ‘মেসার্স ছাবের এন্টারপ্রাইজ’ নামে তার আরেকটি বেনামী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পোস্ট অফিস ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পোস্ট অফিসের সকল প্রকার কাজ তিনিই পান। অনেক ক্ষেত্রে কাজ না করেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত বছর ৯ জুন অনাবাসিক ভবন মেরামত খাতের আওতায় চট্টগ্রাম জিপিওস্থ ৬ষ্ঠ তলা ভবনের কমিটি রুম মেরামত ও সংস্কার বাবদ (সংশোধিত কার্যাদেশ) ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’কে ৬ লাখ ৮০ হাজার ৬২৭ টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয়। অতিরিক্ত পোস্ট মাস্টার জেনারেল কাজী মামুনুর রশিদের স্বাক্ষরে [নথি নং-বিজেড-১১১৬/জিপিও কমিটি রুম (২য় তলা)/৬ষ্ঠ তলা ভবন/২০২০)] সাইফুলের প্রতিষ্ঠান এই কাজ পায়। ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ৬৮৭ টাকায় লামাবাজার টিএসও ডাকঘর মেরামতের কাজটি দেয়া হয় (নথি নং-বিজেড-মিস/নির্মাণ/ মেরামত/দরপত্র-১/২০১৮-২০১৯) ‘মেসার্স ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’কে। অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল আল মাহবুব এ কার্যাদেশ দেন।
তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর গ্রামীণ ডাকঘর নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের জালালাবাদ ছালেহ বাজার টিএসও ডাকঘর ভবন সংস্কার কাজ করে সাইফুলের বেনামী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ছাবের এন্ট্রারপ্রাইজ’। এ কাজের গুণগত মান নিয়ে সিটি উপ-বিভাগ, চট্টগ্রামের পোস্ট অফিস পরিদর্শক অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এভাবে গত কয়েক বছরে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী অন্তত: ২৫টি গ্রামীণ ডাকঘর নির্মাণের কার্যাদেশ পান। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প উপজেলা ভিত্তিক ‘ই-পোস্ট সেন্টার প্রকল্প’। অন্তত: ৪৫টি পোস্ট ই-সেন্টারের নতুন ভবন যেনতেনভাবে নির্মাণ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’ তিনি শুধু নির্মাণ-সংস্কারের ঠিকাদারিই করেন না। করছেন পরিবহন ব্যবসাও। ডাক অধিদফতর, পূর্বাঞ্চলের ডাক পরিবহন (মেল সার্ভিস) ব্যবস্থাটি নিয়ে নিয়েছেন নিজ দখলে। শুধুমাত্র সাইফুলের পরিবহন ব্যবসার স্বার্থে ডাক অধিদফতর ওই অঞ্চলে নিজস্ব মেইল সার্ভিসটি বন্ধ করে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতাসহ নানা অজুহাতে ওই এলাকার মেইল পরিবহনের দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে সাইফুলের ‘ফ্রেন্ডস কমিউকেশন’ কে।
দুদক সূত্র জানায়, সংস্থাটি যে অভিযোগের ভিত্তিতে সাইফুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান (স্মারক নং-০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.০৪০.২১-২০৮৪৭) চালাচ্ছে তাতে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জিপিও’র পোস্টাল অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী পোস্টমাস্টার চট্টগ্রাম সার্কেলের সঙ্গে আঁতাত করে ডাক বিভাগের ৩টি ডাক চলাচলের লাইনের সরকারি গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন। ডাক বিভাগের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনে মেইল মটর সার্ভিস এখন সম্পূর্ণরূপে সাইফুলের মালিকানাধীন ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’র ওপর নির্ভরশীল। নিজের প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার, চট্টগ্রাম টু রাঙ্গামাটি এবং চট্টগ্রাম টু কাপ্তাই ডাক পরিবহন পরিচালনা করছেন। চট্টগ্রাম সার্কেলকে দেয়া হয় ২০টি অত্যাধুনিক গাড়ি। সাইফুল ইসলাম চৌধুরী নিজের ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে ডাক বিভাগের গাড়ির মতো রং করে ডাক বিভাগের স্টিকার লাগিয়ে ডাক বিভাগের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আর এই স্টিকারের আড়ালে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবা পরিবহন করেন। বিশেষত: ‘চট্ট-মেট্টো-০২-০১২৬’ নম্বরের গাড়িটিতে করে পাচার হয় ইয়াবা। ২০০৯ সালে চন্দনাইশে টহল পুলিশ ইয়াবাসহ সাইফুলের একটি গাড়ি আটক করে। পরে সাইফুলের ছোট ভাই সাংবাদিক পরিচয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গাড়ি ছাড়িয়ে নেন। এছাড়া দোহাজারী ব্রিজ এলাকায় একাধিকবার টহল পুলিশ সাইফুলের ইয়াবা চালানসহ গাড়ি আটক করে।
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও নিজে হাঁকান দু’টি প্রাইভেট কার (নং-চট্ট-মেট্টো-গ-১২-৫৯৬২) এবং (চট্ট-মেট্টো-গ-১১৫৬৩২)। এ ছাড়া নোহাহ গাড়ি চট্টমেট্টো-চ-৫১-০৭২৫, চট্ট-মেট্টো-অ-০২-০১২৬, ট্রাক চট্ট-মেট্টো-ট-১১-৯১৬৭, প্রাইভেটকার চট্ট-মেট্টো-চ-১১-২৭২২ নম্বরের গাড়িগুলো ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। তার বেনামী সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২টি ব্রিক ফিল্ড। এর আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা। তার বন্ধু বিদেশ-ফেরত মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানকে দিয়ে ব্রিকফিল্ড দু’টি পরিচালনা করেন।
স্ত্রী সৈয়দা আয়েশা ইয়াসমিনের নামে রয়েছে ‘ফ্রেন্ডস ফিশ কর্ণার’। ১০ নং সমবায় মার্কেট, ইকবাল রোড, ফিশারী ঘাট চট্টগ্রামের ঠিকানায় অবিস্থত এই প্রতিষ্ঠানের আওতায় রয়েছে ৩টি ফিশিং ট্রলার। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন দেশে মাছ রফতানি করা হয়। পাইরোল নিজ গ্রামে বাড়ির আশপাশে রয়েছে ৫টি পুকুর। এসবের মূল্য অন্তত ১০ কোটি টাকা।
গত ২৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম জিপিও তে ভুয়া বই বানিয়ে ৩০ কোটি টাকা সহ পোস্ট মাস্টার নূর মোহাম্মদ এবং পোস্টাল অপারেটর সারওয়ার আলম সরাসরি হাতে নাতে আটক হলেও মূল আসামি রয়ে গেছে অধরা। ওই সময় তাদেরকে কোন প্রকার রিমান্ডে নেওয়া হয় নাই। উক্ত অর্থ সাইফুলের গাড়িতেই পাচার হয় অর্থ। প্রায় এক বছর দুই মাস পার হলেও এর কোনো সুরাহা মেলেনি। জাস্ট শুধু নামে মাত্র উক্ত দুজন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করে চট্টগ্রাম জিপিও। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম মোড়ল। এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ সাইফুলের ফুফাতো ভাই। সারওয়ার আলমকেও চাকরি দিয়েছেন সাইফুল। তার অতিঘনিষ্ট দু’জন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলে ভুয়া জমা দেখিয়ে সেটি কয়েকশত গুণ বাড়িয়ে উত্তোলন করছেন টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, মামলার তদন্তে ১২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা চট্টগ্রাম জিপিওতে ‘সাইফুলের লোক’ হিসেবে পরিচিত। সাইফুল ইসলামের তদবিরে নূর মোহাম্মদকে সঞ্চয় শাখায় পোস্টিং দেয়া হয়। দায়িত্বে বসার এক বছরের মাথায় জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। গ্রাহকদের মধ্যে রায়ফা হোসেনের ১৬ লাখ, লাকী আক্তারের ১৪ লাখ এবং সাকী আক্তারের ১৫ লাখ টাকা ডাক বিভাগের নথিতে না তুলে আত্মসাৎ করেন নূর মোহাম্মদ ও অপারেটর সরওয়ার আলম খান।
এর আগেও চট্টগ্রাম জিপিও’র সঞ্চয় শাখা থেকে আরো অন্তত: ৫০ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়। ওই সময় টিআই (টাউন ইন্সপেক্টর) ছিলেন সাইফুল। তার অধীনস্থ আকতার আলী (এসবি-৭০০২২৪), লাকি আকতার (এসবি-৬৮৬৬৩৫), নূর মোহাম্মদ (এসবি-৬৬৮৭৪৬), আয়েশা বেগম (এসবি-৬৪২৫৭৫), রিহাবউদ্দিন (এসবি-৬৯০৪০৬), মুক্তা বেগম (এসবি-৬৮৯৭৩১), মুক্তা বেগম (এসবি-৭০০২৪৭), আরবার সালেনূর (এসবি-৬৬৬০১৩), লাকি আকতার (এসবি-৬৯৬২৫১), রায়ফা হোসেন (এসবি-৬৯৯৩৫০) এবং মো. খোকনের (এসবি-২৫৪৭৪৭) অ্যাকাউন্টের বিপরীতে জালিয়াতির মাধ্যমে এই অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। সাইফুলের চাকরিচ্যুত ড্রাইভারের নাম খোকন। আগে তার নামে একটি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি-২৫৪৭৪৭) করা হয়। ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই অ্যাকাউন্টে জমা দেখানো হয় ১০০০ টাকা। ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ জমা দেখানো হয় ৫,০০,০০০ লাখ টাকা। ২০২০সালের ২৩ মার্চ এই অ্যাকাউন্ট থেকে মুনাফাসহ উত্তোলন করা হয় ৬ লাখ ৬৯ হাজার ২শ’ টাকা।
ড্রাইভারসহ বিভিন্ন জনের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ভুয়া জমা দেখিয়ে তিনি এভাবে অর্থ তুলে নেন। ওই সময় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি হলেও সাইফুল থেকে গেছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সর্বশেষ ৩০ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ার পরও একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি হয়। রহস্যজনক কারণে এ কমিটিও প্রতিবেদন দাখিলে কালক্ষেপণ করছে।
দেড়শ কোটি টাকার মালিক দুর্নীতিবাজ কর্মচারী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী সম্পর্কে চট্টগ্রাম সিনিয়র পোস্ট মাস্টার ড. নিজাম উদ্দিনের মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি মোবাইলে কিছু বলতে পারব না এটা বলে লাইন কেটে দেন। অন্যদিকে তার সম্পর্কে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল ড.জামাল পাশার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন তার বিষয়ে তদন্ত চলছে, এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না বলে তিনিও লাইন কেটে দেন।
অপরদিকে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার দুর্নীতির বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত উক্ত তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌছায় নাই। তিনি এটাও বলেন সাইফুল ইসলাম চৌধুরী সঙ্গে আরো অনেক বড় বড় কর্মকর্তারা জড়িত আছে, এজন্যই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হতে বিলম্ব হচ্ছে। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুইজন গ্রেপ্তার হলেও এর পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী মহল। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি অচিরেই যেন এটার উদঘাটন করতে পারি।
দুর্নীতিবাজ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকের নাম শুনেই বলেন, আমি ফোনে কিছু বলতে পারব না এই বলে লাইন কেটে দেন। সর্বশেষ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম মোড়ল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। এটি একটি বড় চক্র। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।