জামিন পেলেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদন বিষয়ে আজ রোববার শুনানি হয়। পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিনি জামিন পান।
সরকারি নথি চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে দায়ের করা মামলায় কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষ হলে আজকেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আদালতে রোজিনা ইসলামের পক্ষে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও আমিনুল গনি টিটো। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সিএমএম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু।
পিপি তার বক্তব্যে বলেন, রোজিনাকে শর্তসাপেক্ষ অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া যেতে পারে। আসামিপক্ষে এহসানুল হক সামাজী সে বক্তব্য সমর্থন করেন।
রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সামাজী বলেন, পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিনি জামিন পান। আপাতত তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
‘এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদেশের আগে কয়েকটি ভিডিও আদালতে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। আমরা তার বিরোধিতা করেছি। আমরা বলেছি, আদেশের ঠিক আগ মুহূর্তে এই ধরনের তথ্য উপস্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। আদালত আমাদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে এই আদেশ জানিয়ে দেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি হয়। ওইদিন জামিন না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়ার কথা জানান আদালত। শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।