রেদোয়ানুল হক সবুজ : কুষ্টিয়া জেলায় ১৬৮টি ইট ভাটার ১৪৪টি অবৈধ ভাটার মধ্য থেকে কুমারখালীতে সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত, অবশিষ্ঠ রইল ১৩৭টি অবৈধ ইটভাটা। এসময় প্রায় ২৫ লক্ষ কাঁচা ও ৫ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। ৭ তারিখ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে এ অভিযান চলে। আদালত পরিচালনা করেন, খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান। এসময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আতাউর রহমান, র্যাব, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে ইট ভাটায় ড্রাম চিমনির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবুও কিছু অসাধু ভাটা মালিক অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করছেন। এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে আজ যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বাকি ব্রিকস, সাগর ব্রিকস, সৈনিক ব্রিকস, জহুরা ব্রিকস, সিফাত ব্রিকস, এসআরবি-২ ও এসআরবি-৩ নামের সাতটি ভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো জানা গেছে, অভিযানে সাতটি ভাটার প্রায় ২৫ লক্ষ কাঁচা ইট ও ৫ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান চলমান রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযানের সরেজমিন থেকে দেখা গেছে, এক্সেভেটর দিয়ে ভাটার চারিদিকের দেওয়াল ও ড্রাম চিমনি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কাঁচা ইট গুলো ট্রাক্টর ও পোড়ানো ইট গুলো এক্সেভেটর দিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জ্বলন্ত ভাঙা ভাটায় পানি দিয়ে আগুন নিভাচ্ছেন।
এবিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে অবৈধ ড্রাম চিমনি ব্যবহৃত ভাটা গুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ভাটায় অভিযান চালানো হবে। আজ যদুবয়রাতে সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক ইট। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবেক, কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় ২২টি বৈধ ভাটার মধ্যে দৌলতপুরে রয়েছে ১টি, ভেড়ামারায় ৫টি, মিরপুরে শূন্য কুষ্টিয়া সদরে ১টি, কুমারখালীতে ১১টি ও খোকসায় ৪টি। এদিকে অবৈধ ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সময়োপযোগী অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে মুহূর্তেই শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমান অভিযান দেখতে।