মহামারী করোনার ধাক্কা সামলাতে কুষ্টিয়ার কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ আজ পথে বসেছে। ঐ সকল কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ালেন আমেরিকা প্রবাসী মানবতার সেবক ও একজন করোণা যোদ্ধা জয় নেহাল। জয় নেহাল এখন একটি ব্র্যান্ড হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। কোভিড ১৯ এর শুরু থেকেই জয় নেহাল সুদূর প্রবাসে থেকেও তার জন্মভূমি কুষ্টিয়া বাসিকে একের পর এক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তা দেখে বিশ্বব্যাপী আজ হতভম্ব।
প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয় নেহালের সহযোগীতায় কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়া, কালিশংকরপুর, হরিশংকরপুর, উত্তর মিলপাড়া, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের উত্তর পাশে সহ কুষ্টিয়া পৌরসভা আওতাধীন এলাকার ৬০জন কর্মহীন রিস্কাচালক, ভ্যানচালক ও নিম্নআয়ের মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া দেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, সালমান শাহেদ, রিপন ইসলাম, আরমান শেখ. সাদ, অপু সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা। এ সময় অবরুদ্ধ কর্মহীন, দুঃস্থ অসহায় ৬০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।
ইতিপূর্বে করোনা রোগীদের জন্য দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেছেন বর্তমানে বিভিন্ন করোনা রোগীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে ব্যবহার করছেন। আজ বুধবার নতুন করে আরও দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার এসে পৌঁছেছে কুষ্টিয়ার করোনা রোগীদের জন্য।
অন্যদিকে প্রবাসী জয় নেহালের সহযোগিতায় বুধবার সকালে কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতলে মাক্স ও সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা:মো: আবদুল মোমেন এর কাছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবক আহত সম্রাট ও হৃদয়ের জন্য কিছু খাদ্য সামগ্রী ও সকলের জন্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক নেহাল স্যারের সন্তান জয় নেহাল বর্তমানে সপরিবারে তারা সকলে আমেরিকা বোস্টন বসবাস করছেন। জয় নেহাল ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি সার্থক এই কারণে যে, দীর্ঘ করোনাকালীন সময় থেকে আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে কুষ্টিয়াবাসীকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমার দেখাদেখি বিভিন্ন সংগঠন এই করোনা কালীন সময়ে এগিয়ে এসে করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এটাই আমার চরম পাওয়া। আপনারা আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যেন আমি ও আমার পরিবার সুস্থ থেকে এই মহামারী করোনা কালীন সময়ের মধ্যে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি।