নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ মহামারিকে ছাড়িয়ে গেছে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরও লাখ লাখ মেইল-ইন ভোট বা ডাকযোগে পাঠানো ব্যালট ভোট গণনায় বিলম্ব ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দোদুল্যমান বা ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য বলে পরিচিত উইসকিনসন ও পেনসিলভানিয়ায় এই ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেশি। এই রাজ্য দুটির আইনপ্রণেতা মঙ্গলবারের আগেই পৌঁছানো মেইল-ইন ভোট প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার আইন প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছেন।
সোমবার নর্থ ক্যারোলিনার অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেমোক্র্যাট জোস স্টেইন বলেন, ‘দেখুন, দেশ এখন এক কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ভোটারদের এটা জেনে আশ্বস্ত হতে হবে যে তারাই এই নির্বাচনে জয়ী ঠিক করবে—কোনও রাজনীতিবিদ নয়, কোনও আইনজীবী নয়।
ভোট গণনা শেষ হতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে বলে নির্বাচনি কর্মকর্তারা আগে সতর্ক করার পরও ট্রাম্প দাবি করে চলেছেন, নির্বাচনের রাতেই ভোট গণনা সম্পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। এই মিথ্যা দাবির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লাভ করতে চাইছেন তিনি। এই দাবির মধ্য দিয়ে নির্বাচনের দিনেই সমর্থকদের সশরীরে ভোটদানে আগ্রহী করতে চেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন আশা করছেন, বেশি পরিমাণ ভোটার ডাকযোগে ব্যালট পাঠাবেন।
উইসকিনসনের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা মিয়াগান ওলফে জানিয়েছেন, তার রাজ্যের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করতে বুধবার রাত পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি ডাকযোগে বেশি ভোট আসার কথা উল্লেখ করেছেন।
পেনসিলভানিয়ার ভোটের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে দেরি হতে পারে বলে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন গভর্নর টম উলফ। বিজ্ঞাপনটি চলতি সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত প্রচার করা হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য হিল-এর এক প্রতিবেদনে রাজ্য গভর্নর টম উলফকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, রাজ্যের সব ভোট নিখুঁতভাবে গণনা করতে একটু বেশি সময় লেগে যাবে। এ কারণে ফল আসতেও দেরি হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যে নিরপেক্ষ ভোটারদের সংগঠন দ্য ভোটার প্রজেক্টের অর্থায়নে বিজ্ঞাপনটি প্রচার করা হচ্ছে। এই সংগঠনের নেতৃত্বে ডাকযোগে ভোট দেওয়া ভোটাররাও আছেন। এর উদ্দেশ্য হলো—এই করোনা মহামারিতেও সব ভোট নিখুঁতভাবে গণনা করা।
বিজ্ঞাপনে গভর্নর টম উলফ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়টা অনেক কঠিন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ১০ কোটি ভোটার ডাকযোগে ও সশরীরে আগাম ভোট দিয়েছেন। তাই এসব ভোট গণনা করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা আপনাদের প্রতিবেশী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুসহ প্রত্যেকের ভোট গণনা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাই ফল ঘোষণা করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু বেশি দিন লেগে যেতে পারে।