প্রতিবাদী কন্ঠ ডেস্ক: গত ৬ তারিখ ২২ শ্রাবণ শনিবার ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম মহাপ্রয়াণ দিবস। তবে কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে ছিলনা তেমন কোন আয়োজন। অথচ ২৫শে বৈশাখ কবির জন্ম জয়ন্তীতে এই কুঠিবাড়িতে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও দর্শনার্থীদের পদভারে পরিপূর্ণ থাকে কুঠিবাড়ির অঙ্গিনা। দিবসটি পালিত হয় জাতীয়ভাবে। অথচ কবির সেই স্মৃতিধন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে নিরবেই পালিত হল কবির মহাপ্রয়াণ দিবসটি।
পদ্মাতীরের ছায়াশীতল নিরিবিলি পরিবেশ সবসময়ই কবিকে আকর্ষণ করতো। তাইতো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাণের টানে কুঠিবাড়িতে ছুটে এসেছেন বারবার। এখানে বসেই কবি রচনা করেছেন কালজয়ী সব কাব্যগ্রন্থ, ছোট গল্প, নাটক ও উপন্যাস। যে গীতাঞ্জলী কাব্য রচনা করে কবি নোবেল জয় করেছিলেন, সে কাব্যের প্রায় পুরোটাই তিনি রচনা করেছিলেন তাঁর স্মৃতিধন্য কুঠিবাড়িতে বসে। এখানে কবির জন্মবার্ষিকী খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। কিন্তু মহাপ্রয়াণ দিবসে এখানে তেমন কোন আয়োজন না থাকায় এ নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির স্মৃতিধন্য কুঠিবাড়িতে জন্মবার্ষিকীর আদলে মহাপ্রয়াণ দিবসও আড়ম্বরপূর্ণভাবে জাতীয়ভাবে পালনের দাবী জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা কালচারাল অফিসারের সুজন রহমান ও কুঠিবাড়িতে আসা দর্শনার্থী, কবির ভক্তরা।
এদিকে কুঠিবাড়ির দায়িত্বে থাকা কাষ্টোডিয়ান মকলেছুর রহমান ভুঁইয়া জানান, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কবির স্মৃতিবিজড়িত বকুলতলায় মহাপ্রয়াণ দিবসে বিকেল ৩টায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামসহ জেলা ও কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।