নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নতুন পাড়া এলাকার মৃত গণি মিয়ার ছেলে মোশারফ তিনি নাশকতা মামলার প্রধান আসামি তার বিরুদ্ধে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১০.৩০ এ বড় আইলচারা বাজারের আসলাম জোয়ার্দ্দারের দোকানের সামনে রাস্তার উপরে নাশকতা করে।
সরকার বিরোধী আন্দোলন, নাশকতা সৃষ্টিকারী ও পরিকল্পনাকারী তার নেতৃত্বে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন সেখানে অভিযান চালিয়ে ককটেল বোমা লোহার রড লাঠি শুটা সহ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকৃত মালামাল জব্দ করে ।এই ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানা একটি মামলা হয়েছে যার নং ৬১/৫২৮ এই মামলায় মোশারফকে এক নাম্বার আসামি করে আরো বিশ জন সহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনের নামে মামলা করা হয়। এই মামলায় তাকে গত ৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতার হয়। গত কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পেলে জেলা কারাগারের গেট থেকেই তাকে রিসিভ করে নিয়ে যায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধান । এমনটাই জানিয়েছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। গত ৭ নভেম্বর রাতে বটতৈল আনসার ক্যাম্পের সামনে বিএনপি জামাতের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে রোডে শোডাউন ও বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের সংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা । সেখানে দেখা যায় নাশকতা মামলার প্রধান আসামি মোশাররফকে আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়ে বক্তব্য দেন নারী কেলেঙ্কারি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত ১১ আগস্ট ২০২২ তারিখে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ভুক্তভোগী স্বপ্না খাতুন নামে এক নারী নজরুল ইসলাম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ভুক্তভোগী স্বপ্না খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি আদালতে মামলা করেছি বিচার পাওয়ার জন্য, যার মামলা নাম্বার ১৭/৩২৫ । মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে । চলতি মাসের ১৩ নভেম্বর এ মামলাটির দিন রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই তাকে নির্দোষ দাবি করে আবারো তাকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষক লীগের আহ্বায়ক পদে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়েছে । এই বিষয়ে অবশ্যই আমি আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব সেইসাথে লিখিত অভিযোগ দিব দলীয় নেতাদের কাছে। পদ ফিরে পাওয়ার পর থেকে আমার ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় ভয়ভীতি ও আমার বাসার আশেপাশে এসে ভয় ভিতী প্রদর্শন করছে এবং আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিচ্ছে । আমি এর সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার দাবী করছি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, সে নাশকতা মামলার প্রধান আসামি সহ জামাত বিএনপির লোকজনকে একত্রিত করে আওয়ামী লীগ বানিয়ে এলাকায় বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। তার এ কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা কর্মীরা। এ বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রমজান আলী দেওয়ান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনা সঠিক জামাত বিএনপির লোকজনকে সাথে নিয়ে এই ছেলেটি এলাকায় বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। সে মোশাররফকে আওয়ামী লীগ নেতা বানাচ্ছে সে আওয়ামীলীগের কোন পদেই নাই, তার পরিবারসহ সে নিজেও নাশকতা মামলার আসামি। অথচ তাকে আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে সে, কি প্রমাণ করতে চাচ্ছে নিঃসন্দেহে আগামী নির্বাচনে একটি প্রভাব ফেলানোর গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে নজরুল ইসলাম প্রধান ও মোশারফ গং । কিছুদিন হলো সে নাশকতা মামলায় জেল থেকে বের হয়ে এসেছে । কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে রাতারাতি সে জয় বাংলা জয় বাংলা বলে স্লোগান দিচ্ছে কিছুদিন আগেও সে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেছে। সরকার বিরোধী আন্দোলন তার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল। অতএব অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমরা ইতিমধ্যে একটি অভিযোগ পত্র লিখেছি আমরা দলীয় ভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোমিন মন্ডল কে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম প্রধানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি দলের জন্য কাজ করতেছি আমাকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। নাশকতা মামলার প্রধান আসামী মোশাররফকে সাথে নিয়ে আপনি বিক্ষোভ করেছেন কেন? এটার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন তাকে চক্রান্ত করে নাশকতা মামলায় আসামী করা হয়েছে।