আব্দুর রহমান : দূর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া কুমারখালীর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়। দালাল ছাড়া এখানে হয়না কোন কাজ। দালাল ধরে কাজ হলেও পদে পদে গুণতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। এই সকল দূর্ণীতি ও অনিয়ম থেকে পরিত্রাণ চাই সাধারণ মানুষ। তাদের অবৈধ চাঁদাবাজিতে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে জমি বিক্রেতা-ক্রেতা’সহ উপজেলার সাধারণ মানুষ।
অফিসে দূর্ণীতির বিষয়ে যতটুকু জানেন এখানে তার থেকেও কয়েকগুল বেশী দূর্ণীতি হয়। জমি রেজিস্ট্রি চলাকালীন সময়ে এখানে আসলে দেখতে পাবেন প্রকাশ্যে দলিল লেখক সমিতি এবং অফিস খরচের কথা বলে, টাকা আদায় করা হচ্ছে। অথচ আমাদের জানামতে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গত দুই বছরের অধিক সময় দলিল লেখক সমিতির কোন কমিটি নেই। যারা দলিল লেখক সমিতির নামে টাকা আদায় করছে তারা এলাকার প্রভাবশালী লোক হওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলার সাহস পাই না।
আর এই অফিসে যে সকল দূর্ণীতি হচ্ছে সেগুলো সাব-রেজিস্ট্রার, সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার ও প্রভাবশালীরা যৌথ ভাবে দূর্নীতি করে থাকে। সেই কারণেই এখানে আসা সেবা প্রত্যাশীরা নিরুপায় হয়েই সকল কিছু মুখ বুজে সহ্য করে। তবে এই সকল অনিয়ম ও দূর্ণীতির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী সহ সেবা প্রত্যাশীরা।
কুমারখালী দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বলেন, আমি এখন বাগুলাট ইউনিয়নে খান সাহেবের সাথে প্রোগ্রামে আছি। আপনি সভাপতির সাথে কথা বলেন। এই বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি, দীন মোহাম্মদ মন্টুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন কোন সমিতি নাই। কারা টাকা নেয় এবং কিভাবে খরচ করে সেই বিষয়ে আমি জানিনা।
দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার আতাউল ইসলাম বলেন, এটার কোন ভিত্তি নাই। এটা আমার জানাও নাই। এরকম কোন কিছু হলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব-রেজিস্ট্রার মাহবুবা মনির মিশু বলেন, এই বিষয়ে কে বা কারা বলেছে আমি তো জানিনা। এইসব নিয়ে আমাদের অফিসে সেরকম কিছুই নাই। এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। যদি এরকম কিছু পাবলিকের সাথে হয় তাহলে তারা তো অফিসে আসবে। আমি এখন পর্যন্ত এরকম কোন অভিযোগ পাই নাই।