সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেল নিয়োগের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দশম দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। এর আগেও একই স্থানে ১০ দিন ধরে অবস্থান করেছেন তারা। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী কমিটি-২০১৮ এর ব্যানারে এই আমরন কর্মসূচি পালন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাতে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী গাদাগাদি করে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান নিয়েছেন। আমরণ অনশনে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না। ১৮৮ জন সংসদ সদস্য আমাদের সঙ্গে সম্মতি জানিয়ে ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছি না।
চাঁদপুর থেকে আসা আকলিমা আক্তার বলেন, আমরা যোগ্য বলেই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমাদের চাকরির বয়স চলে গেছে। ফলে আমাদের পেছনে তাকাবার সুযোগ নেই। আমরা মানবতার মা প্রধানমন্ত্রীর ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি।
জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রায় ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাকি ৩৭ হাজার ১৪৮ জনকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রার্থীরা।