প্রতিবাদী কন্ঠ ডেস্ক ॥ কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ যেখানে মাদকে বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন, সেখানে প্রশাসনের চোঁখে ধুলো দিয়ে অবাধে রাত দিন ২৪ ঘন্টা প্রকাশ্যে হাটশ হরিপুরের জহুরুল গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। হরিপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ মোড় এলাকা থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে কুষ্টিয়া র্যাবের হাতে গাঁজাসহ আটক হয় জহুরুল। কিছুদিন জেল হাজতে থেকে আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে বেরিয়ে এসেই আবারো পুনরায় রমরমা চালিয়ে যাচ্ছে তার এই সমাজ ধ্বংসকারী মরণব্যাধি মাদক ব্যবসা। এছাড়াও তার বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানে বসিয়েছেন জুয়ার আসর। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে মাদক ব্যসায়ের কথা অস্বীকার করলেও জুয়া খেলার কথাটি স্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটশ হরিপুরের সূশীল সমাজের ব্যক্তিরা জানান, তার মাদকের ভয়াল থাবায় আজ পুরো হরিপুরবাসী অতিষ্ট। তার মাদক ব্যবসা বন্দের বিষয়ে কিছু বলতে গেলে তাদের উপরে চড়া হয়ে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন। এলাকাবাসী আরও বলেন তার এই মাদক ব্যবসায়ের জন্য এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এবং নেশার টাকা যোগান দিতে না পারায় এই সব ছেলেরা বিভিন্ন চুরি, ছিনতাই সহ নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। তারা আরও বলেন, শুধু হরিপুরের মাদকসেবীরা তার কাছ থেকে মাদক ক্রয় করেন না, কুষ্টিয়া শহর থেকে দলে-দলে এসে জহুরুলের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এটাও বলেন গ্রেটার হরিপুরের বিভিন স্থানে অনেকেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। হরিপুর এখন মাদকেন স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে বলেও জানান। তবে তারা এটাও বলেন, এলাকায় জহুরুলের কিছু গডফাদার আছে তাদের নিয়ন্ত্রনেই চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা।
হাটশ হরিপুরবাসীর একটাই দাবী সেটা হল, আমরা হরিপুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত দেখতে চাই। মাদক নির্মূল করতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আপনারা জাতীর বিবেক আপনারা চাইলে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে প্রশাসনের নজরে আনতে পারেন। যেন উক্ত সংবাদের সূত্র ধরে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীরা মাদক ব্যবসায়ী জহুরুলের মত আরো ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারেন, এটাই আমাদের দাবী আপনাদের কাছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।