এজাজ উচ্ছ্বাস : বহুল আলোচিত ২০১৫ সালে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঠিকাদারের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে দুদকের কাছে হাতে নাতে ধরা খাওয়া সেই স্বাস্থ্য সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে (৫৩) দুইটি ধারায় তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ০৩ তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনা শেষে আসামীকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারের প্রেরনের আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন কুষ্টিয়া ছয় রাস্তার মোড় থানাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে মাহমুদ আলম।
মামলা সূত্রে জানা যায় যশোর ডিভিশনের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে বিভিন্ন সংস্কার মূলক কাজ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এম কামাল এন্টারপ্রাইজ সহ আরও ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয় এবং তাদের পক্ষে একজন ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম কাজ করেন। ১১টি প্যাকেজের কন্সট্রাকশন কাজের ৪৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকার সরকারী কাজ সম্পন্ন করে। ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলম উক্ত ৬টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্ত করার সময় খাইরুল ইসলাম এর কাছ থেকে ২লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। পরবর্তীতে উক্ত টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করলে অভিযোগকারীকে ৬টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্তে মেমো নম্বর দেয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম দুনীতি দমন প্রধান কার্যালয় ঢাকার অনুমোদনক্রমে দুনীতি দমন কমিশন সন্বিত কুষ্টিয়ার বরাবর সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। দুনীতি দমন কমিশন উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে ২০১৫ সালের আগষ্টের ১২ তারিখে ফাঁদ মামলা পরিচালনা করেন এবং ঠিকাদারীর খাইরুল ইসলামের মাধ্যমে ঐদিন সকালে ৫০ হাজার টাকা চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সহকারীর প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলমকে উক্ত টাকা প্রদান করলে দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে হাতে নাতে টাকাসহ মাহমুদ আলম গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ থানায় প্রেরণ করে এজাহার দায়ের করেন।