বৈঠা বানিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক
সুজন বিশ্বাস : কুষ্টিয়ার খোকসায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে শনিবার ৪ ডিসেম্বর বিকেলে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে মোটর সাইকেল শোডাউন করেছে। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী ক্রমিক নং ১৩ তে স্পষ্টভাবে বলা আছে প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রকার মিছিল কিংবা শো-ডাউন করা যাবে না। উক্ত বিধিমালা কে উপেক্ষা করে নৌকা প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক শত শত নেতাকর্মীদের সাথে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে ইউনিয়ন ব্যাপী জনসংযোগ চালান যা সম্পুর্ন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে, ভোটের মাঠ উত্তপ্ত করার লক্ষ্যেই এমন কাজ করেছে চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এমনটাই জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার তার বিপক্ষে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আব্দুস শকীব খান টিপুসহ পাঁচ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস শকীব খান টিপু বলেন, নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বহিরাগত লোকজন ভাঁড়া করে এনে ইউনিয়ন ব্যাপী মোটর সাইকেল শোডাউন করে। এতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।এছাড়াও তিনি তার সমর্থকদের বৈঠা বানিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার এই বক্তব্যে গণতন্ত্রের মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। এবিষয়ে অভিযুক্ত নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে খোকসা নির্বাচন অফিসার রশিদুল আলম জানিয়েছেন, শনিবার ৪ ডিসেম্বর দুপুরে চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোটর সাইকেল শোডাউন করেছে তা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে তিনি অবশ্যই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এবিষয়ে নির্বাচন অফিস ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে, যদি নির্বাচন অফিস মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাহলে আমরা সহযোগীতা করবো।
খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি এবং নির্বাচন অফিসারকে বলেছি আগামীকালকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।