রেদোয়ানুল হক সবুজ : গত ২৬ শে আগষ্ট ২০২৩ ইং শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলফামোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়া শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের মাসব্যাপী জাতীয় শোক দিবস কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম শেখের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: শাহ জালাল এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব তাইজাল আলী খান, প্রধান বক্রার বক্তব্য প্রদান করেন কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব আতাউর রহমান আতা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রধান করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জজ কোর্টের বিজ্ঞ সরকারি কৌসুলি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আখতারুজ্জামান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, শহর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো: সালামত আলী, মো: মানজিয়ার রহমান চঞ্চল, নূর আলম দুলাল, কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব বাদশা, কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইঞ্জি. ইয়াসির আরাফাত তুষার, স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর বন্নী সুলতানা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিস কোরাইশি, নাইমুল ইসলাম ও আবু জাহিদ সঞ্জু।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগ নেতা জীবন আহমেদ অমি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জুয়েল আহমেদ রনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিন, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান রনি, শহর যুবলীগ নেতা বিপ্লব হোসেন সাজু। ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, মৎসজীবীলীগ, তাতীলীগ এবং যুব মহিলালীগের নেতাবৃন্দ। উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া কর্মসূচিতে প্রায় সহস্রাধিক নারী ও পুরুষ ভোটার অংশগ্রহণ করেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির জীবনে নেমেছিলো কালোরাত। সেদিন জাতি হারিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাকে সহ তার পরিবারের সদস্যদের ঘাতকরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। ঘাতকেরা সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খান্ত হয়নি। ২১ আগস্টে বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। কথাই আছে রাখে আল্লাহ মারে কে, আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে পরিশ্রম করছেন।
হানিফ বলেন, জামাত-বিএনপির দোষররা আবারো দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের কোন ষড়যন্ত্র আর সফল হবে না। কারন তারা উন্নয়নে বিশ্বাসী না। জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী শুরু হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার বন্ধ করার বাস্তবায়ন করেছিলো। সে সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতা হত্যার বিচার চেয়েছেন দেশের প্রচলিত আইনে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। জামাত-বিএনপি মিথ্যা প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়ায় অস্থিতিশীল তৈরী করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ মেনে নিবে না। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও কুষ্টিয়ার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানান।
বক্তারা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করে ব্যাপক আলোচনা করেন। এছাড়াও দেশের উন্নয়ন মূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানান। অনুষ্ঠানে ১৮নং ওয়ার্ডের হাজার হাজার নারী-পুরুষ জনসাধারণের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু সু-শৃঙ্খল ভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া কামনা শেষে সকলের মাঝে তবারক বিতরন করেন।