রেদোয়ানুল হক সবুজ :
কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুল আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। বিয়ের ২০ দিন পর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রেখা খাতুন (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড হাউজিং ই ব্লক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রেখা খাতুন কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাখই গ্রামের রহিম আলীর মেয়ে। সে কুমারখালী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পারিবারিকভাবে গত ২০ দিন আগে সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ এলাকার হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। হাফিজুল গোপালগঞ্জ জেলায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন।
নিহতের বাবা রহিম আলী বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো বুধবারেও সকাল ৯টার দিকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়। কুমারখালী কলেজে যাওয়ার সময় আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে যায়। অন্যান্য দিন দুপুর ২টার মধ্যেই কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু বুধবারে সে বাড়ি ফেরেনি। পরে কোথাও খোঁজ করে পাচ্ছিলাম না। এরপর সন্ধ্যার পরে খবর পাই, কুষ্টিয়ায় একটি মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে দেখি আমার মেয়ের নিথর মরদেহ পড়ে আছে লাশ কাটা ঘরে।
তিনি আরও বলেন, আমি গরীব মানুষ। ঝাড়ুর ব্যবসা করি। আমার কোনো ছেলে নেই। ৫ মেয়ের মধ্যে রেখা সবার ছোট। ২০ দিন আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়েছে। আমাদের কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে তা জানি না। তবে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের ঠোঁট কাটা, শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টির ক্লু বের করে গত ৭ তারিখ সন্ধ্যার পর মূল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলাও দায়ের করা হয়েছে।