প্রতিবাদী কন্ঠ ডেক্স : কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় কুষ্টিয়ার খবরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাসিবুর রহমান রুবেল নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৫ দিন পর গত ৭ জুলাই ২০২২ ইং দুপুর ০১:৩০ ঘটিকার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের নিচে গড়াই নদী থেকে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল এর চাচা মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ০৮ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১২, তারিখ-০৮-০৭-২০২২, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
একজন সাংবাদিক হত্যা করার ঘটনাটি দেশের বহুল প্রচারিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল অদ্য ১৬ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ রাত ০৩:৪৫ ঘটিকায় কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন ০২ জন আসামী মোঃ কাজী সোহান শরীফ (৪৪), পিতা- মৃত আব্দুল হামিদ, সাং-থানাপাড়া (গোলাম রহমান রোড) এবং খন্দকার আশিকুর রহমান জুয়েল (৪০) পিতা- মৃত খন্দকার হারুন অর রশিদ, সাং-চর কুঠিপাড়া, উভয় থানা- সদর, জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত কাজে সহায়ক হবে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য যে, এই ধরণের অভিযান সচল রেখে সোনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া বদ্ধপরিকর।