রেদওয়ানুল হক সবুজ : বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং নেক্সাস টেলিভিশন এর সহযোগীতায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনামূলক কর্মশালা গত ১৯ তারিখ রবিবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টার্ক মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সচেতন মা” শীর্ষক এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেন এনডিসি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা খুলনার আবদুস সালাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’র প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক কৃষিবীদ ড. হায়াত মাহমুদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়ার নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মশিউর রহমান প্রমুখ। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডলফিন ডায়াগণষ্টিক সেন্টারের নিউট্রিশনিষ্ট এন্ড ডায়েট কনসালটেন্ট শামীমা আহমেদ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ এখন সয়ংসম্পূর্ণ। আগামিতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা যে যার মত জায়গা থেকে সচেতন থাকলে খাদ্য নিরাপদ রাখা সম্ভব। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তারা। তারা আরো বলেন, খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে নানান ধাপ পেরিয়ে যখন আমাদের প্লেটে আসে, তখন সেটা কতটা নিরাপদ থাকে ? আমাদের লক্ষ্য পেট ভরে খাওয়া। কিন্তু সেটা নিরাপদ নাকি অনিরাপদ ? সে বিষয়ে কোনো ধারণা রাখি না। তবে বর্তমানে সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তা সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। যার কারণ এখন মানুষ শুধু পেট ভরে খেতে চায় না, বিশুদ্ধ খাবারও চায়। আমি যে খাদ্য খাচ্ছি, সেটা নিরাপদ কিনা তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে যারা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করছে, তাদের সহযোগিতা করতে হবে, যাতে তারা অর্গানিক খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহিত হতে পারে। দেশে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন বক্তারা। অবশ্য এজন্য বেশি বেশি করে জনসচেতনা বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা মনে করি মায়েরাই পারে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে। সংশ্লিষ্ট বক্তাদের কথায় জানা যায়, আয়োজনটি বছর ব্যাপী দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়ার নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মশিউর রহমান জানান, বাংলাদেশে যথেষ্ঠ খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু নিরাপদ খাদ্যের অভাব রয়েছে। প্রতি বাড়িতে মা যদি আগ্রহী হয় তাহলে নিরাপদ খাদ্য পাওয়া সম্ভব। তাই মায়েদেরকে আগে সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কর্মশালায় ভিডিও প্রদর্শণ ও কুইজ ও স্কুল শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে দলীয় উপস্থাপন ও পুরস্কার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধীক মায়েরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নেক্সাস টেলিভিশনের প্রযোজক রাণা ইসলাম। এছাড়াও পুরো ইভেন্টটির সহযোগিতায় ছিল নেক্সাস টেলিভিশন।