প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া এলাকায় অবস্থিত ইউনাইটেড ঢাকা টোবাকো কোম্পানি লিমিটেডের মেম্বার অফ জাপান টোবাকো গ্রুপ (জেটিআই) কুষ্টিয়া টেক্সটাইল মিল ক্রয় করে ওখানে তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ চলছে। যদিও সাইনবোর্ডে এখনো কুষ্টিয়া টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড লেখা আছে। কারণ উক্ত টেক্সটাইল মিলে পূর্বে যেখানে শাড়ি কাপড় তৈরি হতো সেটিই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেটিআই কোম্পানি আইনের তোয়াক্কা না করে ভাদালিয়া টেক্সটাইল মিলের মধ্যে তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উক্ত জেটিআই কোম্পানিতে অফিশিয়াল ও আন অফিসিয়াল প্রচুর পরিমাণ লোক কাজ করছে বিভিন্ন শিফট এর মাধ্যমে। ভিতরে একটি ক্যান্টিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে যা ব্যবহৃত হচ্ছিল না যার পরিপেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্টিনের মাধ্যমে খাবার সাপ্লাই করনের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। উক্ত খাবার সাপ্লাইয়ের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেন। সাপ্লাইয়ার প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ইনকিউবেটর ভেঞ্চার নামক একটি প্রতিষ্ঠান খাবার সাপ্লাইয়ের কাজ পান গত ২৫ মে ২০২২ তারিখে উক্ত কাজের অর্ডারটি প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ড থেকে জেটিআই এর পক্ষ থেকে নিকিতা হোসেইন মেইল করে অনুমতি প্রদান করেন। গত ১ জুন ক্যান্টিনের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের কারণে তা হয়ে ওঠেনি আগামী ৬ তারিখে সেটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
ইনকিউবেটর ভেঞ্চার এর মালিক পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা বালিয়াপাড়া গ্রামের নাঈম রহমান তার ছয় জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জেটিআই কোম্পানির মধ্যে ক্যান্টিনের মেরামত থেকে শুরু করে সার্বিক কাজ করে যাচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যান্টিনে ব্যবহার করনের জন্য মালামাল ঢুকিয়ে ফেলে। এবং প্রতিটি মালামাল ঢোকানোর ইনভয়েস জেটিআই কোম্পানির সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করান। যার প্রতিটা ইনভয়েস সংরক্ষণ করা রয়েছে তার কাছে।
কিন্তু জেটিআই কোম্পানির প্লান্ট ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসী ভিতরে ঢুকে হঠাৎ তাদের উপর আক্রমণ করে সমস্ত মালামাল ছুঁড়ে ফেলে দেন প্রাণনাশের হুমকি দেন। ইতিমধ্যে মালামালের কিছু অংশ বাইরে বের করে দেন বেশিরভাগ মালামালই ভিতরে লুটপাট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উক্ত সাপ্লাইয়ার কোম্পানির মালিক নাঈম রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা অর্ডার শীট হাতে পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছি আগামী ৬ তারিখে উদ্বোধন হওয়ার কথা। কিন্তু বিধিবাম আমাদের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় জেটিআই এর প্লান্ট ম্যানেজারের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে আমাদের উপর এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার উপর। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। সেই সাথে প্লান্ট ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডে বিষয়টি জানাতে বাধ্য হব।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জেটিআই প্লান্ট ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নাই।