ঘনিয়ে আসছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় ধাপে হয়তো কুষ্টিয়া বাকি উপজেলা গুলোতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশন। উক্ত নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১০ নং উজানগ্রাম ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সকলের মুখে মুখে রব উঠেছে একটিই নাম সেটি হলো উজানগ্রাম ইউপি আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ও তরুণ প্রজন্মের আইকন সানোয়ার হোসেন মোল্লা।
তবে উক্ত নির্বাচনের চার জন ব্যক্তির নাম বিভিন্ন সমজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান দুর্বাচারা গ্রামের সাবুবীন ইসলাম সাবু, দুর্বাচারা গ্রামের আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান সানোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি ইতিমধ্যে সকল ভোটারদের মাঝে আলোচনার ঝড় তুলেছেন, সোনাই ডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী পরিবারের পুত্র বধু শেখ রেহানা মজিদ, তিনি সদর উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে আরেকজনের নাম শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন, বিত্তিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উজান গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, উপরোক্ত ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি সর্বপ্রথমে রয়েছেন বলে ইউনিয়ন বাসী প্রতিবেদককে জানান। ইউনিয়ন বাসী বলেন ২০১১ সালে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সামান্য ভোটে পরাজিত হন। ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীক না পেয়েও তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। সেখানেও তিনি সামান্য কিছু ভোটে হেরে গেলেও দলীয় সিদ্ধান্ত মতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে তিনি নৌকার হাল ছাড়েননি। তিনি জীবনটাকে আওয়ামী লীগ সংগঠনকে বুকে আঁকড়ে ধরে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবনে এ পর্যন্ত কোন প্রকার দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এজন্যই উজানগ্রাম ইউপিবাসী তাকে এবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেন। তবে ছানোয়ার মোল্লা ইতিমধ্যে তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি আইকন হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
এবারের নির্বাচনী নৌকা প্রতীক নিয়ে উজান গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুর্দিনের কান্ডারী, জামায়াত বিএনপি কর্তৃক নির্যাতনের শিকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে জনগণের পাশে থেকে সেবা করতে চাই বলে সানোয়ার মোল্লা প্রতিবেদককে বলেন। তিনি এটাও বলেন আমি চেয়ারম্যান না হয়েও ইউপি বাসীর জন্য সময়ে অসময়ে ও করোনাকালীন সময়ে যে সাহায্য-সহযোগিতা জনগণের মাঝে করেছি তা জনগণ কখনোই ভুলবেনা। আমি চেয়ারম্যান হতে পারলে উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদকে নতুন করে ঢেলে সাজাবো সেই সাথে একটি দুর্নীতিমুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করবো।