কামরুজ্জামান রিপন: কুষ্টিয়ার বাসিন্দাদের দীর্ঘকালের দাবি ছিল গড়াইয়ের উপর কুমারখালী-যদুবয়রা সেতু। এলাকাবাসীর স্বপ্নের সেতু নির্মাণে বরাদ্দ হয় ৮৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কুমারখালী উপজেলার দক্ষিণের পাঁচ ইউনিয়নের মানুষের প্রতীক্ষিত সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। গত অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ ছিল মূল সেতু নির্মাণের দিন। কিন্তু শিডিউল শেষ হলেও এলজিডির দায়িত্বহীনতায় ধীরগতিতে কাজ চলায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী-যদুবয়রা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদার কোম্পানি সাধারণত কাজে গাফিলতি করেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) দায়িত্ব তো তা দেখাশোনা করার। তারা তাও করছে না। কাজে এলজিইডির কোনো তদারকিই চোখে পড়ে না। এলজিইডি অফিস সূত্র জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও রানা বিল্ডার্স যৌথভাবে সেতুর নির্মাণকাজ করছে। ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিলে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই সবগুলো স্প্যানের কাজ শেষ করেছে। ৫২টি পিসি গার্ডারের সেতুতে স্প্যান রয়েছে ১৩টি। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ হবে ৫০ মিটার, চওড়া হবে ৯.৮০ মিটার। সেতুর দক্ষিণের যদুবয়রা পাড়ের গার্ডারের ১৬টি এবং উত্তর পাড়ের সাতটির ঢালাই ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। ১৩টি স্প্যানের চারটির ছাদ ঢালাইও হয়েছে শেষ। বর্তমানে নদীর তলদেশে পানি থাকলেও দুই পাশের অধিকাংশ স্প্যান বালুর চরে আটকে আছে।
এ দিকে সেতুর দুই পাশে নদী শাসন ও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করার ক্ষেত্রে এখনো ডিজাইন ও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুধু মাপ-জোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে নদী শাসনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
কাজের ধীরগতির বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির এক কর্মকর্তা জানান, এলজিইডি সব সময় তদারকি করছে। করোনার কারণে শিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এক বছর সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই কাজ শেষ হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ জানান, করোনা জটিলতা, শ্রমিক সমস্যার কারণেই শিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ হয়নি। অর্থের কোনো সঙ্কট নেই। আশা করছি আগামী জুন-জুলাইতে কাজ শেষ হবে।