কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের কালিকা তলা এলাকায় জটিল সব রোগের জন্য চলছে কবিরাজি চিকিৎসা। সাধারন মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে তদবির চিকিৎসার নামে ভন্ডামি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ‘কবিরাজ’ জব্বারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নিজেকে পীর বলেও দাবী করছেন এই ভন্ড কবিরাজ।
এদিকে ‘কবিরাজ’ জব্বারের অপচিকিৎসায় অনেকেই আরও জটিল রোগে আক্রান্ত এবং নিঃস্ব হলেও কবিরাজের দাবি এমন চিকিৎসায় অনেক রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন তিনি। প্রতিদিনই শতশত মানুষ অপচিকিৎসায় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু প্রতারক কবিরাজ-জব্বারের বিষয়ে অনেকটাই উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। ‘কবিরাজ’ জব্বারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে লাহিনী বটতলার ইউনু আলীর ছেলে ভুক্তভোগী রাজু আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে আমার স্ত্রী সঙ্গে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এতে আমার স্ত্রী রাগ করে তার বাপের বাড়িতে চলে যায়। তারপর অনেক চেষ্টা করেও তাকে আর আমার বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। পরে বাগুলাট ইউনিয়নের কালিকাতলা এলাকার জব্বার কবিরাজের খোঁজ পায়। কবিরাজ জব্বার আমার স্ত্রীকে ফিরত আনতে ১০ হাজার টাকা নেন। পরে আর স্ত্রী ফিরত আসেনি। সে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। আমি ভন্ড কবিরাজ জব্বারের কঠোর বিচার চাই। সে যেন আর কোনো মানুষের সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা করতে না পারে।
এ বিষয়ে কবিরাজ জব্বার জানান, খেলাফতের মাধ্যমে পীরও হয়েছি আমি। কবিরাজী চিকিৎসাও করছি জটিল রোগের।
ডাক্তার পড়াশুনা বা ডাক্তারী সনদপ্রাপ্ত না হয়ে তিনি কিসের ভিত্তিতে এই সকল জটিল রোগের চিকিৎসা করছেন এমন প্রশ্ন করলে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ ব্যাপারে বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পিযুষ কর্মকার বলেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।