প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় শুধু এক ব্যক্তির দুটি ‘অবৈধ ইটভাটা’য় যাতায়াতের জন্য এক কিলোমিটার পাকা সড়ক ২০১৭ সালে নির্মাণ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। অথচ পাশেই একটি সড়ক একযুগ ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও সেদিকে নজর দেয়নি এলজিইডি। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুঃখীপুর গ্রামের রবিউলের বাড়ি থেকে রমজান আলীর ইটভাটা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায়ে পাকা করে দিয়েছে এলজিইডি।
সরেজমিনে দেখা যায় সড়কটির শেষ প্রান্তে রমজান আলীর ইটভাটা সীমানায় গিয়ে শেষ হয়েছে। ইটভাটার চারপাশে মালিকের নিজস্ব সম্পত্তি অবকাঠামো, অন্য অংশ গেট দিয়ে আটকানো। ফলে, সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসেনা সড়কটি। আশে পাশে ৬‘শ/৭‘শ মিটারের মধ্যে কোনো বাড়িঘর দেখা যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু এই ইটভাটার জন্য সড়কটি পাকা করা হয়েছে। অথচ ৫০ মিটার দূরের চক দৌলতপুর-কাপড়পোড়া সড়ক এক কিলোমিটার দূরের দৌলতখালী কুর্মিপাড়া সড়কটি দীর্ঘ একযুগ ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবু ওই সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি। এতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একই অবস্থা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মানিকদিয়াড়-সাদিপুর সংযোগ সড়কটিরও।
এলাকাবাসী অভিযোগ, সড়কটি সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসে না। এই সড়কটি শুধু ইটভাটার যানবাহন চলাচল করে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার উদ্দিন জোয়ারদার বলেন, ‘সড়ক কোথায় হবে না, হবে সেগুলো আমি নির্ধারণ করি না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা ওই সময় যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিষয়টি বলতে পারবেন।’
এলজিইডি কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমার যোগ দেওয়ার আগের প্রকল্প ছিল, সেহেতু নথিপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছি না। তবে, অনেকগুলো সড়কের তালিকা অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।